
প্রণেতা: জুয়েল খন্দকার,
আমি, জুয়েল খন্দকর, গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া–এর ইন্তেকালে গভীর বেদনা প্রকাশ করছি। তাঁর প্রস্থান কেবল একটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিদায় নয়; এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি।
বেগম খালেদা জিয়ার জীবন ছিল অবিরাম সংগ্রাম, ত্যাগ ও দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি। ব্যক্তিগত জীবনের বেদনা, রাজনৈতিক প্রতিকূলতা, কারাবরণ এবং দীর্ঘদিনের অসুস্থতার মধ্যেও তিনি দেশের মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক বহুত্ববাদের প্রশ্নে আপসহীন অবস্থান বজায় রেখেছেন। এই দৃঢ়তা ও নৈতিক সাহস তাঁকে সময়ের সীমা অতিক্রম করে ইতিহাসের পাতায় স্থায়ী করেছে।
প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি নারীর নেতৃত্ব ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তাঁর নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক সহনশীলতার আহ্বান এবং জনগণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ—এসবই আমাদের জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার উৎস। সমর্থন ও বিরোধিতার মাঝেও তিনি জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সরে যাননি—এটি একজন রাষ্ট্রনায়কের অন্যতম মৌলিক গুণ।
একজন নাগরিক ও পেশাজীবী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, বেগম খালেদা জিয়ার জীবন আমাদের শেখায় প্রতিকূলতার মধ্যেও দায়িত্ববোধ, সাহস ও মানবিকতা বজায় রাখার মূল্য। তাঁর অবদান ও ত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও চিরশান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহকর্মী ও অনুসারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। জাতি তাঁর স্মৃতির প্রতি যথাযথ সম্মান জানাবে—এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
জুয়েল খন্দকার, প্রধান সম্পাদক, দেশপত্র পত্রিকা।



