গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ (মৃত্যু) লাভ—এই তিনটি ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিবসটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে প্রধান ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পরিচিত। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের সকল অশান্তি দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ শান্তি ও মঙ্গল কামনায় শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে ধর্মাবলম্বীরা।
রাজধানীর শাহবাগে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য পরিবেশ বিরাজ করছে। বাংলাদেশের জন্মের চেতনার সঙ্গে আমাদের সকলের চেতনা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। গৌতম বুদ্ধের যে বাণী, জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক। অহিংসার যে অমিয় বাণী তিনি প্রচার করে গেছেন৷ অশান্তির বিরুদ্ধে শান্তির যে সুধা তিনি তার বাণীর মাধ্যমে প্রচার করে গেছেন। আজকের বিশ্বেও তা প্রাসঙ্গিক। এটি সমকালের, এটি ভাবীকালের, এটি বর্তমানের। এটি কোনোদিনও অনুজ্জ্বল হবে না। এটি চিরদিনই আমাদের অন্তরে সুন্দের, শান্তির প্রদীপ জ্বালিয়ে যাবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
এই আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী দিব্যেন্দু বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া। অনুষ্ঠান শেষে শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের মহাসচিব ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি বাবু দীপাল চন্দ্ৰ বড়ুয়া, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি নেত্রসেন বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান দয়াল কুমার বড়ুয়া, চিন্ময় বড়ুয়া রিন্টু,প্রকৌশলী পুলক কান্তি বড়ুয়া, ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া, রাহুল বড়ুয়া প্রমুখ।