দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
এইতো মাসখানেক আগের কথা যখন প্রায় দিনই রিক্সা চুরি ছিনতাইয়ের কথা শোনা যেতো। অসহায় হতদরিদ্র এ সকল রিক্সা ড্রাইভারদের দুঃখভারি কাহিনী শোনার পর মাঠে নামে দেশপত্র পত্রিকা ও এশিয়া বার্তার অনুসন্ধানী টীম। চুরি ছিনতাই এর স্পট হতে সরাসরি লাইভ সম্প্রচার করার পরের দিনই প্রশাসনের সহায়তায় উদ্ধার হয় একটি রিক্সা ও দুজন চোর চক্রের সদস্য। এরপর অধিকতর তদন্তে নামে দোহার থানা পুলিশ। ঘটনার ধারাবাহিকতায় গত জুন মাসের দোহার থানার ইকরাসি এলাকায় আলাউদ্দিন মেম্বার নামের এক ব্যক্তির অটোরিকশাটি অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করে নিয়ে গেলে তার অভিযোগের ভিত্তিতে দোহার থানার মামলা নং ১৪, ধারা-পেনাল কোড ৩৯৪ তাং ১৮.০৬.২০২৩ রুজু হয়। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মো: আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার) এর নির্দেশে জনাব মো: আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম, অপস এন্ড ট্রাফিক (উত্তর) এর তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ সুপার, দোহার সার্কেল জনাব মো: আশরাফুল আলম এর সরাসরি অপারেশন পরিকল্পনায় অফিসার ইনচার্জ দোহার থানার নেতৃত্বে একটি চৌকস দল ছিনতাই এর সাথে জড়িত দুই আসামি সেন্টু ও রানাকে সনাক্তপূর্বক গ্রেফতার করে। উক্ত আসামিদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা ছিনতাইয়ের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ফৌ:কা:বি: ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
সেন্টু ও রানা গ্রেফতার হলেও মূল হোতা তানিম সুকৌশলে আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মূল হোতা তানিমকে গতকাল গ্রেফতার করে লুন্ঠিত অটোরিকশাটি জামাল চরের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার কৃত আসামি তানিমকে আজ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে সে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
আরেকটি চুরির ঘটনায়
গতকাল দোহার থানায় পৃথক এক অভিযানে ১ টি চোরাই অটোরিকশাসহ ৩ পেশাদার চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো মুকুল, শহীদ ও জুয়েল। উল্লেখ্য গত ০৩.০৮.২০২৩ ইং দোহার থানাধীন বৌবাজার সাকিনস্থ জনৈক ইমন মিয়ার একটি অটোরিকশা অজ্ঞাতনামা চোরেরা সুকৌশলে চুরি করে নিয়ে গেলে দোহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে যার মামলা নং ০৪, ধারা-পেনাল কোড ৩৭৯, তাং ০৪.০৮.২০২৩। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই দোহার থানার একটি চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে নবাবগঞ্জ থানার বারুয়াখালী তদন্তকেন্দ্রের সহায়তায় ৩ পেশাদার চোর মুকুল, শহীদ ও জুয়েলকে গ্রেফতার করে এবং তাদের হেফাজত থেকে চোরাই অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। পরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের আজ ০৫.০৮.২০২৩ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা চুরির সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ফৌ:কা:বি: ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।