দোহার প্রতিনিধি (ঢাকা) : ইসমাইল হোসেন শাকিল
ঢাকার দোহার উপজেলায় পদ্মানদীতে গরুর ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ মামা মনিরের মরদেহ উদ্ধার করেছে কুতুবপুর ফাঁড়ির নৌ-পুলিশ। এ ঘটনায় মনিরের ভাগ্নে সিয়াম এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিহত মনির মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাগড়া ইউনিয়নের জাহানাবাজ গ্রামের মোতালেব মাদবরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে উপজেলার মুকসুদপুর পয়েন্টে পদ্মানদীর তীরে স্থানীয়রা একটি মরদেহ ভাসতে দেখে তারা নৌ-পুলিশকে খবর দিলে কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে নৌ-পুলিশের একটি টিম গিয়ে মরদেহটি উদ্বার করে। কোন অভিযোগ না থাকায় মনিরের স্বজনদের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার দোহার উপজেলার মধুরচর এলাকায় পদ্মানদীতে ৬৩টি গরুসহ একটি গরুবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ৬৩টি গরুর মধ্যে ৩০টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে এবং ট্রলারে থাকা গরুর বেপারী মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার মনির(৪০) ও তার ভাগ্নে সিয়াম(১২) নিখোঁজ হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী ফরিদপুর জেলার টেপাখোলা বাজার থেকে গরু ক্রয় করে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সিএমবিঘাট হয়ে ঢাকার দোহার উপজেলার মেঘুলা ঘাটে যাওয়ার সময়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটি দোহারের সুতারপাড়া ইউনিয়নের মধুরচর এলাকায় এলে ট্রলারটির নিচের তলীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পানি ঢুকতে থাকে। ট্রলারের মাঝি বিষয়টি বুঝতে পেরে ট্রলারটি নদীর দিকে ভেড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এসময় ৬৩টি গরুসহ গরুবহণকারী ট্রলারটি পানিতে ডুবে যায়। গরুগুলো ট্রলারের সাথে বেঁধে রাখায় সকলের সহযোগিতায় ৩০টি গরু উদ্বার করা গেলেও বাকি গরুগুলো ট্রলারসহ ডুবে যায়। সকালে ট্রলারসহ মৃত গরুগুলো পানির উপরে ভেসে উঠে।