★ প্রকল্পে অনিয়ম, সহকর্মী হেনস্থা, অর্থ পাচার, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সাথে আঁতাতের অভিযোগ!
দেশে চলমান উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্প একের পর এক সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, যা গোটা বিশ্বে নজির স্থাপন করে বাংলাদেশ কে নিয়ে গেছে উন্নয়নের মহাসড়কে। সফল ও ব্যাস্ততম এ অধিদপ্তরে ঘাপটি মেরে বসে খোদ নিজ সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নিজ সার্থ চরিতার্থ করে চলছে কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা কর্মচারীগন, তাদের রয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সঙ্গে আতাত। সরকারের সফলতা কে ম্লান করতে সবসময়ই তারা প্রস্তুত। এমন সব কর্মকর্তাদের মুখোশ উন্মোচন করে চলছে সাপ্তাহিক দেশপত্র।
অনুসন্ধান চলমান অবস্থায় একের পর এক থলের বিড়াল উকি মাড়ছে। সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এর বিরুদ্ধে উঠছে লাগাতার অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ। মাতারবাড়ি প্রকল্পে দুর্নীতি অনিয়মের সিংহভাগ টাকাই নাকি প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম তার নিজ ঘরে রাখেন। ব্যাংকে টাকা রাখতে ভীষণ ভয় পান। রাজধানীর সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা বসুন্ধরায় তার আলিশান ফ্ল্যাট, সেখানেই বসবাস করেন তিনি। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সজা প্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের সাথে এতটাই সখ্যতা তার, যে নিজ মেয়ের নাম তারেক রহমানের মেয়ের নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছেন যাইমা রহমান। বিএনপি ক্ষমতায় এলে নাকি এই প্রকৌশলীর হুকুম ছাড়া সড়কের গাছের পাতা ও নড়বেনা, এমনটাই বলে থাকেন স্টক জাহাঙ্গীরের সহকর্মীরা। ইতিমধ্যে তিনি নাকি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তটস্থ করেছেন, বলে বেড়াচ্ছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এমন একটি সাপ জামার গুপ্তধনকে পাহারা দিবে। শেয়ার মার্কেটে ব্যাপক বিনিয়োগ করায় এই প্রকৌশলীকে তারি সহকর্মীরা বলে থাকেন “দ্যা স্টক কিং” অনিয়মের কারণে সড়ক সেতু মন্ত্রণালয় বারবার তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। অভিযোগ অনুসন্ধান চলমান অবস্থায় দেশপত্রের কাছে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্য আসতে শুরু করে, যার মধ্যে উঠে আসে নিজ সহকর্মী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে আজাদুর রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে আরেক বিএনপি নেতার মালিকানাধীন পত্রিকায় প্রকাশ করানো।
উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে নিজের বদলি করানোর জন্য ঘুষ দেয়া এবং স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সাথে জড়িত কিছু আন্ডারগ্রাউন্ড মিডিয়ার সাথে আতাত করে নিজ দফতরে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার তথ্য সবারই জানা। যা সরকারি চাকরি বিধিমালার বেশ কয়েকটি ধারা ও উপধারা লংঘন করে।
প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের নিযুক্ত এক লবিস্ট বনর্না করেন কিভাবে সে অর্থের বিনিময়ে নিজের পদায়নের জন্য তাকে ব্যাবহার করে এবং সহকর্মীর বিরুদ্ধ সংবাদ প্রকাশ করায়। জাহাঙ্গীর আলম এর বিরুদ্ধে আনিত আভিযোগ এর ভিত্তি পাওয়া যায় এক অডিও রেকর্ডে, যাতে তার নিজ স্বীকারোক্তি পাওয়া যায়। পৃথক আরেকটি অডিও রেকর্ডে সহকর্মীর বিরুদ্ধে সংবাদ ছাপানো এবং তদবির এর মাধ্যমে নিজ পদায়নের জন্য প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে এক লবিস্টের কথোপকথন শোনা যায়। বিশাল সম্পদশালী এ প্রকৌশলী সপরিবারে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আলিশান বাড়িতে বসবাস করেন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় স্ত্রী সন্তানের নামে একাধিক প্লটও রয়েছে তার, পূর্বাচলেও কিনেছেন প্লট। নামে বেনামে আত্নীয় স্বজনের নামে রয়েছে তার সম্পদের পাহাড়, কিছুদিন আগে মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধান শুরু হলেও তা ধামাচাপা দিতে মড়িয়া হয়ে আছে এই ধূর্ত প্রকৌশলী। আন্ডারগ্রাউন্ড কিছু মিডিয়ার সাথে আতাত করে বিদেশে অর্থ পাচার, স্বাধীনতা বিরোধীদের অর্থায়ন এবং নানান সুবিধা প্রদানের মতো গুরতর অভিযোগ উঠে এসেছে সওজ প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম এর বিরুদ্ধে। মাতারবাড়ি প্রকল্পে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা এখন জনসাধারণের মুখে মুখে। শোনা যায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে তা অন্য সাংবাদিকের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার পায়তারা করছে এই ধূর্ত প্রকৌশলী। সওজ এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম এর বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগের আলোকে দেশপত্রের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।