শিরোনাম
এলজিডির আওতার ঠাকুরগাঁওয়ে ৫৩০জন মহিলার মানবেতর জীবনযাপন এনসিপির প্রার্থী তালিকায় ১৪ নারী, কে কোন আসন থেকে লড়বেন পল্টনে সিআইডির ট্রেনিং সেন্টার থেকে এসআইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার আমি নির্বাচন করবো, কোন দল থেকে করবো এটা পরের ডিসকাশন: আসিফ মাহমুদ আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই নির্বাচন করছি না: নাহিদ ইসলাম কুমিল্লা-৪ আসনে লড়বেন হাসনাত আবদুল্লাহ জয়কে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ‘অরেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’ কর্মসূচি পালিত ভাঙ্গুড়ায় নতুন দলগুলো প্রকৃত সংস্কার বোঝে না: মির্জা আব্বাস বেগম খালেদা জিয়ার আসনে যাকে প্রার্থী করলো এনসিপি

ড্রোন উড়িয়ে ডাকাত খুঁজছে ছাত্র”রা এক রাতেই আটক ২২ ডাকাত

S M Rashed Hassan

জুয়েল খন্দকার, নিজস্ব প্রতিবেদক:-
রাতের আকাশে ড্রোন উড়িয়ে ছাত্ররা মাত্র দুই ঘন্টায় ২২ ডাকাতকে আটক করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। রাজধানী ঢাকার ছয়টি পয়েন্ট ও নারায়নগঞ্জের দুটি স্থান থেকে এ ডাকাতদের আটক করার খবর পাওয়া গেছে।

রাজধানী ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে একযোগে ডাকাত ঢুকেছে এমন সংবাদ পেয়ে শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি ড্রোন উড়িয়ে দেয়। শব্দহীন ড্রোনগুলোর সাহায্যে বিভিন্ন মহল্লা, অলিগলি, বস্তি এলাকা ঘুরেফিরে ডাকাতদের অবস্থান ও সন্দেহজনক বিচরণ চিহ্নিত করা হয়, পাশাপাশি মোবাইল ফোনের নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় থাকা গ্রুপ সদস্য ও এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের আটক করার অভিযান চলতে থাকে। এ পদ্ধতিতে রাত দেড়টা থেকে রাত সাড়ে তিনটার মধ্যেই রাজধানীর পরীবাগ, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, কাফরুল, উত্তরা থেকে মোট ১৩ জন এবং নারায়নগঞ্জে ৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের গণধোলাই দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ্দ করা হয়।

ড্রোনের সাহায্যে ডাকাতদের অবস্থান চিহ্নিত করে তাদের আটক করার ঘটনাগুলো জনমনে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

অধিকাংশ থানা ভাঙ্গচুর ও লুট হওয়ার কারনে এবং ঢাকায় পুলিশ, র‍্যাব, ডিবির কার্যক্রম না থাকার সুযোগে গত তিন দিন ধরে ডাকাতদের উপদ্রব বেড়েছে। একই সময় বিভিন্ন মহল্লায় ডাকাতদের নানা গ্রুপ চড়াও হচ্ছে মর্মে খবর ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে মসজিদের মাইকে ডাকাত বিচরণের খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের সব মহল্লার মসজিদেও সতর্ক থাকার ঘোষণা প্রচার করা হতে থাকে। পাশাপাশি ফেসবুকে চলতে থাকে এসব খবরের ছড়াছড়ি।

বাস্তবে একশ্রেণীর টোকাই ও মহল্লা পর্যায়ের কিশোর গ্যাং সদস্যদের ব্যবহার করে ডাকাতি সংঘটিত করার পরিবর্তে ডাকাত ঢুকার গুজব ছড়ানোর নজিরই বেশি দেখা যাচ্ছে। মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরিকল্পিত অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন অনেকেই। সন্দেহভাজন ডাকাত হিসেবে যাদেরকে আটক করা হচ্ছে তাদের বেশির ভাগ বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।

এক গ্রুপে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিতে থাকলে তাদেরই আরেক গ্রুপ এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে বলে জানান দিয়ে নিমিষেই ছড়িয়ে দেন মানুষের মাঝে এই আতংক। কথিত ডাকাতদের হাতে অেস্ত্রশস্ত্র বলতে ছুরি, দা, চাপাতি ছাড়া অন্যকিছু থাকে না। এইসব ডাকাতদের মধ্যে কয়েকন শিশু ডাকাতকে বলতে শুনা যায় বড় ভাই আছে আমাদেরকে নিয়ে এসেছেন নামটাও বলেন কিন্তু বড় ভাইকে আর খুজে পাওয়াই যায়নি। এই সব পরিকল্পিত ছক একে করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

Leave a Reply