কুমিল্লা জেলা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৫০ শষ্যা স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫ লক্ষাধিক জনসংখ্যা, ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ের সন্নিকটে হওয়ার কারণে চৌদ্দগ্রাম স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে অত্যান্ত গুরুত্ব বহন করে। এই হাসপাতালের প্রধান সহকারী মোজাম্মেল হক যাঁর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা অফিস না করা, সরকারি কর্মচারী, কর্মকর্তা দের কাছ থেকে বিল বাউছারে অবৈধ অর্থ আদায় সহ নানাহ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মোজাম্মেল হকের বিষয় অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায় সকাল ৯.৪৫ মিনিটে উনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত, আবারও ২ মাস পরে দুপুর ২টা গিয়ে দেখা যায় উনি অনুপস্থিত ফোন করে জানতে চাইলে বলেন কুমিল্লা ক্যান্টমেন্ট উনার সন্তান সন্তানের অধ্যায়ন রত স্কুলে কোন কাজে আছেন।
সরজমিন তদন্ত করে জানা যায় হাসপাতালের কর্মচারীদের যে কোন বিল বাউচার, সরকারি যে কোন ভাতা উওোলনের জন্য গেলে প্রধান সহকারী মোজাম্মেল হক কে বিল, বাউচার অনুযায়ী নিদিষ্ট একটা অংকের অর্থ দিতে বাধ্য করা হয়। উনার এসব অনৈতিক কার্যক্রম থেকে উনার চাইতে উচ্চ গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তা, প্রথম শ্রেণির গেজেটেড অফিসার, এমবিবিএস ডাক্তার ও রক্ষা পান না।
মোজাম্মেল হক চৌদ্দগ্রাম স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ৮/১০ বছর কাজ করছেন এই কারণে কমপ্লেক্সের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক ও স্থানীয় পর্যায়ে একটা, পরিচিতি ও প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে তাই কেউ কিছু বলতে সাহস করেন না। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় অতীত নিকটে মোজাম্মেল হক বিশিষ্ট ডাঃ ফারুক আহমেদ একটা সরকারি ভাতা ৪০০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা কেটে বাকি টাকা হস্তান্তর করেন। ডাঃ ফারুক আহমেদ বিষয় টা নিয়ে খুব অপমানিত হয়েছেন বলে জানা যায়।
এমন নয় যে এসব অপরাধ, অপকর্ম মোজাম্মেল হক একাই করছেন, উপজেলার প্রশাসনিক কোন এক সরকারি কর্মকর্তা নাম ভাংগিয়ে এই অবৈধ অর্থ আদায় করেন যাহা আমাদের প্রতিনিধি আমলে নিয়ে বিস্তারিত তদন্তে আছেন। যাহা পরবর্তী তে বিস্তারিত আসবে।
ধারণা করা যায় এভাবেই মোজাম্মেল হক দীর্ঘ দিন এই হাসপাতালের, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজে বিপুল পরিমাণ অর্থবিওের মালিক হয়েছেন। প্রতিনিয়ত মোজাম্মেল হকের অনিয়ম দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার দৃশ্যমান হলেও স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অদৃশ্য কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা নেননা বলেও জানা যায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত চৌদ্দগ্রাম স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী মোজাম্মেল হক কে জানতে চাইলে অশোভন আচরণ ও উনার সাথে দেখা করতে বলেন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও কে বারবার ফোন করে পাওয়া যায়নি।