মেহরাজ রাব্বি ।।গভীর রাতে খবরটি দেখেছি ঢাকায় কি হচ্ছে? বলছিলাম ছাত্রদের কথা। না, এই ঘটনা নিয়ে আপাতত কিছু লিখছি না তবে সার্বিক পর্যালোচনায় এটা বলাই বাহুল্য যে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তবিক অর্থেই বারোটা বেজে গেছে। এই অবস্থা থেকে উঠে আসা অতটা সহজ হবে না বলেই প্রতিয়মান হয়।
কঠিন সত্য হলো, আন্দোলন করে সরকার পতন ঘটানো যতটা সহজ, সরকার পরিচালনা করা শত হাজারগুণ কঠিন। দেশ পরিচালনা ছেলের হাতে কোন মোয়া নয়। আমাদের রাজনীতিবিদদের শত হাজার দোষ আছে তারপরেও দেশ পরিচালনায় রাজনীতিবিদরাই আজ অবধি অনেক বেশি সফল ছিল। অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দ্বারা আর যাই হোক দেশ চলে না। এটা নতুন করে আবার প্রমাণীত হচ্ছে।
শুরুতে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর জনমানুষের কত কত আশা ছিল, ভরসা ছিল, বিশ্বাস ছিল। বাস্তবতা স্বীকার করুন আর নাইবা করুন, আজ অবধি যত অরাজনৈতিক সরকার দেশে এসেছে, এই সরকার তাদের মধ্য সর্বোচ্চ অকার্যকর সরকার বলাটা মোটেও ভুল হবে না।
শুনতে খারপ লাগলেও কঠিন সত্য হচ্ছে, একটি দেশের প্রধান বিশ্বের সর্বত্র পরিচিত হোক, নোবেলধারী হোক কিংবা বিদ্যা- শিক্ষায় সর্বোচ্চ হোক, এইসব উপসর্গ সর্বোচ্চ ভাল রাষ্ট্রপ্রধান হবার জন্য নিশ্চিত উপযুক্ত উপসর্গ মোটেও নয়। বাস্তবতা হচ্ছে, জনমানুষের সাথে সংযুক্ত থাকা লোকগুলোই রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি সফল হয়েছে। শত উদহারণ বিশ্বব্যাপী আছে। জনমানুষের সাথে সংযুক্ত কেবলমাত্র রাজনীতিবিদরাই হয়ে থাকেন, ভিন্ন কেউ নন।
বিশ্ব চলে রাজনীতিবিদদের দ্বারাই এবং রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাজনীতিবিদদের হাতেই রাষ্ট্রের দায়িত্ব থাকাটাই উত্তম। এই বিষয়টি যত দ্রুত আমাদের সবার মাঝে উপলব্ধিতে আসবেই ততই মঙ্গল।
গত কালের বর্তমান অরাজনৈতিক সরকারের একটি চরম উদহারণ দেই তবেই বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। বচনটি দেখে আমি হতবাক হয়ে গেছি।
” বেতনে না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান”- শিক্ষকদের উদ্দেশ্য প্রাথমিকের উপদেষ্টার বচন বা পরামর্শ ছিল এটা!
এবার ভাবতে পারেন অরাজনৈতিক সরকারের নমুনা।