বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেছেন যে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন সারা বিশ্বে স্বীকৃতি ও প্রশংসা অর্জন করবে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণ নিজেরাই তাদের ভোটের পাহারা দেবে, এখানে অন্য কারো প্রয়োজন হবে না। সেই নির্বাচন হবে পরিবর্তনের সূচনাকারি।’

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ইসলামনগর শহীদ হোছাইন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক মহিলা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ সমাবেশে জানান, ‘এই সপ্তাহের মধ্যেই আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই বাংলাদেশে ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬–১৭ বছর দেশের মানুষ আওয়ামী সরকারের **‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনের** কারণে ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। নামমাত্র সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু থাকলেও বাস্তবে শেখ হাসিনা দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’

বিএনপির এই নেতা শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্ব বা মানুষের প্রতি প্রকৃত আস্থা বা দায়বদ্ধতা কখনোই দেখাননি। তিনি নাকি বাংলাদেশের মানুষের সেবক না হয়ে বরং একটি পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করতেন। ক্ষমতায় থাকার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের সম্পদ লুটপাট করা এবং দেশকে অন্যের প্রভাবাধীন করে ফেলা।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশত্যাগ করায় শেখ হাসিনা নিজেই প্রমাণ করেছেন যে তিনি এই দেশের মানুষের কেউ নন।’

সমাবেশে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, চকরিয়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক এম মোবারক আলীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী, কাকারা, লক্ষ্যারচর ও বরইতলী ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন এবং একাধিক পথসভায় বক্তব্য রাখেন।