
অনলাইন ডেস্ক :- মৎস্যভবন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মাঝামাঝি জায়গায় নতুন আয়না ঘরের সন্ধান দিয়েছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে-২ এ আবু সাইদ হত্যা মামলার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
এ সময় আদালতকে জানান, মিডিয়া, প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছিল শেখ হাসিনা। এ দিন গুমের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনাকর্মকর্তাসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
শেষের দিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ। মঙ্গলবার এ মামলার সকাল ১০টার পরে সাক্ষ্য দিতে আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
জবানবন্দিতে জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নৃশংসতার বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জনগণকে সাথে নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় তার দল। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ বা ভারতের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় না এনসিপি। একইসঙ্গে আবু সাঈদ হত্যায় জড়িত প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এ দিন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আওয়ামী লীগের আমলে জেএইসি সেলে ২৬ জনকে গুম করে নির্যাতনের মামলায় হাজির কারা হয় গ্রেপ্তার ৩ সেনাকর্মকর্তাকে। শেখ হাসিনা ও সেনাকর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন তাদের আইনজীবীরা। দাবি করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আযমী আয়না ঘরে ছিলেন না।
শুনানি শেষে গুম ও নির্যাতনের মানবতাবিরোধী মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ১৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১। প্রসিকিউটর শাইখ মাহদী জানান, অভিযুক্ত ১৩ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি গুম ও নির্যাতনের সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ আছে।
এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ২৬ জনকে গুম করার অভিযোগ আনা হয়েছে।



