
অনলাইন ডেস্ক :- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে শুরু হয়েছে ‘সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশ’। হাদির উপর গুলি বর্ষন কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই ঘটনায় জড়িত এবং মদদদাতাদের খুজে বের করতে হবে। এমন দাবী উঠে এসেছে এই সমাবেশ থেকে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবাদী জমায়েত শুরু হয়।
এই সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নিচ্ছেন। সমাবেশ শুরুর আগেই শহীদ মিনার এলাকায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে এবং দুপুরের পর থেকেই মঞ্চ গোছানোসহ অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়।
সমাবেশস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা একের পর এক প্রতিবাদী স্লোগান দেন। তাদের স্লোগানে উচ্চারিত হয়—‘আমরা সবাই হাদি হবো, ভুলের মুখে কথা বলব’ এবং ‘এক হাদি রক্ত দেবে, লক্ষ হাদিস জন্ম নেবে’। তারা হামলার ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি তোলেন।
সমাবেশ শুরুর আগে মঞ্চে গান ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করা হয়, যার মাধ্যমে হামলার প্রতিবাদ জানানো হয় এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সহিংসতার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরা হয়। অংশগ্রহণকারী বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু তা কখনোই সহিংসতায় রূপ নিতে পারে না।
সমাবেশে সারজিস আলম বলেন, ভারতীয় হাইকমিশন যদি এদেশের মানুষের আবেগ অনুভূতি বুঝতে না পারে, তাহলে বাংলাদেশে সেই হাই কমিশন বন্ধ করে দেয়া হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান উঠে আসে এই সমাবেশ থেকে।
আয়োজকরা জানান, এই সমাবেশের উদ্দেশ্য হলো শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদ জানানো এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তুলে ধরা।
উল্লেখ্য, ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া শরিফ ওসমান হাদি নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে আসছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) পুরানা পল্টনে চলন্ত রিকশায় থাকার সময় মোটরসাইকেলে আসা আততায়ীর গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে বেশ সংকটাপন্ন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আজই সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে।



