
নিজস্ব প্রতিনিধি :- দেবিদ্বারে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ দমনে পুলিশের ভূমিকা রহস্য জনক। আওয়ামীলীগ পুনর্বাসন করতে রাজনৈতিক দল গুলির সাথে জড়িত পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের অনুসন্ধানে নেমে দেখা যায়, রাজনৈতিক দল গুলির সাথে পুলিশেরও সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতা ও মাদক গডফাদারদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়সারা অভিযান। মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে কাকে ধরবেন কাকে, ধরবেন না, ধরার পর কাকে মামলা কম দেবেন কাকে বেশি দেবেন এতেও চলে রফাদফা। দফারফার সাথে ভূমিকা রয়েছে রাজনৈতিক দল গুলির। রাজনৈতিক দল গুলির কথা না শুনলে বিভিন্ন অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলবেন পুলিশও নির-উপায়। তার রাজনৈতিক দলের কথা শুনে নিজেরাও লাভবান হচ্ছেন, কেনইবা নিজেদের উপরে চাপ নেবেন পুলিশ। এমন নজির যে শুধু দেবিদ্বারে তাই নয় সমগ্র বাংলাদেশেই পুলিশ প্রশাসন একি কায়দায় চলছে।
আরও জানা যায়, কুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার থানা পুলিশের একটি অংশ রাতের বেলায় অভিযান পরিচালনার দৃশ্য দেখালেও দিনের বেলায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে আসামিদের গ্রেপ্তার না করে নির্বিঘ্নে চলাফেরার সুযোগ করে দিচ্ছেন বলেন অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে ইনকিলাব মঞ্চের প্রধান নেতা শরিফ ওসমান হাদীর ওপর গুলি ঘটনার পর সর্ব দলীয় এক জোট হয়ে ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম দেশজুড়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান গ্রেপ্তার না হলে তিনি আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন। এ প্রেক্ষাপটে সারা দেশে আওয়ামীলীগ ধরতে প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠে। দেবিদ্বার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একযোগে পুলিশের অভিযান শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, অভিযানের আগে কিংবা চলাকালে দেবিদ্বার থানার কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যরা আসামিদের ফোন করে সতর্ক করে দেন। ফলে অভিযানে গিয়ে পুলিশ আসামিদের পান না, পালিয়ে যায় আসামিরা। এমন অভিযোগের একটি উদাহরণ হিসেবে ৪ নং সুবিল ইউনিয়নের বুড়িরপাড় বাজার এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোঃ কাউসার সরকারকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে জানানো হয়। মাদক ব্যবসায়ী মোঃ কাউসার ‘সরকার বুড়ির পার বাজারের সরকার ট্রেডার্সে বসে আছেন তখন পুলিশের যাওয়ার খবর আগেভাগেই ফাঁস হয়ে গেলে কাউছার সরকার সটকে যাওয়ার সুযোগ পান। একটি সূত্রের দাবি প্রায় দেড় মাস যাবৎ আওয়ামী দোসর ও মাদক ডিলার কাউছারকে ধরার জন্য অভিযোগ করলেও চোর পুলিশ খেলা খেলছেন পুলিশ। সর্ব অঙ্গে গা মলম দেবে কোন জায়গায়?
স্থানীয়দের অভিযোগ – দেবিদ্বার থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের এমন আচরণের পেছনে স্থানীয় জনৈতিক নেতাদের অদৃশ্য যোগসাজশ রয়েছে। অভিযানের নামে তথ্য ফাঁস করে আসামিদের পালানোর সুযোগ করে দেওয়া হলে গ্রেপ্তার কার্যক্রম কতটা কার্যকর হবে-এ নিয়েও জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে।

এছাড়া আরও জানা যায় যে, রাতের অভিযানের পর দিনের বেলায় কিছু বিএনপি ও ছাত্র রাজনীতির নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার না করে ‘নিরাপদে’ থাকার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিড়াজ করছে। রাতে আওয়ামী নেতাদের গ্রেফতার করার সাথে সাথে চলে বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল গুলির সুপারিশ। শুরু হয়ে যায় ছাড়ানোর কিংবা মামলা কমানোর মিশন। দেবিদ্বার থানায় আওয়ামীলীগের এমপি রাজীব মুন্সির একনিষ্ঠ নেতা নাজমুল থানার সোর্স হিসেবে কাজ করছেন তাকে প্রতিদিন একবার হলেও থানায় দেখা যায় বলে স্থানীয়দের রাজনৈতিক নেতাদেরও অভিযোগ রয়েছে। ইতি মধ্যে স্বরাস্ট্র উপদেষ্টা যেখানে আওয়ামীলীগ সে খানেই গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেও দেবিদ্বারে আওয়ামীলীগ গ্রেফতারে নেই দৃশ্যমান কার্যক্রম।
আওয়ামীলীগের সাজা চাচ্ছেন সর্ব দলীয় রাজনৈতিক দল গুলি। আবার সর্ব দলীয় রাজনৈতিক দল গুলি আওয়ামীলীগ নিজ দলে নিয়ে দল ভারী করতে মরিয়া। আশ্চর্য হলেও সত্য এই যে স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্ররাও স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ছিলেন এখন সেই স্বৈরাচার দলের নেতাদের পক্ষে সুপারিশ করছেন দেবিদ্বার থানায়। আওয়ামীলীগ মানে রাজনৈতিক দলের নেতার সাথে দল করলেই সেইভ এক্সিট মিলে দেবিদ্বারে। আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদেরকে ধরে থানায় আনার পর নানান রাজনৈতিক দলের সুপারিশ এর কথাটি শিকার করেছেন দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনর্চাজ গোলাম সরওয়ার।

