নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতসহ শরিক দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখা গেছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজধানীতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
এদিন সকালে রাজধানীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই গাড়ি, রিকশা, সিএনজির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। এ সময় কথা হয়, বেসরকারি চাকরিজীবী আমির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, অবরোধ চললেও অফিস তো খোলা রয়েছে, তাই সকাল সকাল বের হয়েছি। আবার অফিসে না গেলে বেতন কাটা পড়বে। তাই বাধ্য হয়েই বের হতে হয়েছে। কিন্তু বের হয়ে দেখি রাস্তাও অনেক ফাঁকা, আগে সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে সমস্যা হলেও অবরোধে সেই সমস্যা হয় না।
কথা হয় নটর ডেম কলেজের ছাত্র আশিক হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, অবরোধ চললেও ক্লাস খোলা রয়েছে। আজ সকাল ৮টায় ক্লাস আছে। পড়ালেখা তো আর বন্ধ করা যাবে না। তাই ক্লাসের জন্য বের হয়েছি। অবরোধের বিষয়টি মাথায় আছে, তাই একটু সাবধানে চলাফেরার চেষ্টা করছি।
এদিকে অবরোধে যেন সহিংসতার ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় কথা হয় এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, অবরোধের কারণে কোনো সহিংসতার ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। তবে সকাল থেকে রাজধানীতে কোনও ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাইনি।
উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এবং মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। তাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরাও এই অবরোধ পালন করছে। পাশাপাশি জামায়াত ইসলামীও আলাদা করে এই ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
এর আগে গত সপ্তাহের শেষ তিন দিন (৩১ অক্টোবর-২ নভেম্বর) টানা অবরোধ পালন করে বিএনপি-জামায়াত। তার আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে তারা। হরতালের দিন সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন। হরতালের পর মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে হয়।