ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা এমনকি ছাত্রীদের উপর পৈশাচিক হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন ঢাকা শহরের আওয়ামী সমর্থিত বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। এর মধ্যে শীর্ষে ছিলেন কামরাঙ্গীরচরের ৫৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন।
জানা যায়, তিনি বিভিন্ন দেশী-বিদেশী অস্ত্রে সজ্জিত তার বাহিনীকে পাঠাতেন যেসব পয়েন্টে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা জমায়েত হতেন, সেসব স্থানে এই মোহাম্মদ হোসেন বাহিনী গিয়ে ছাত্র-জনতার উপরে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ এবং লাঠি সোটা নিয়ে বেদম প্রহার করতেন। তাদের গুলী বর্ষণ ও প্রহারে অনেক আন্দোলনকারী প্রাণ হারায়।
কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। যথারীতি ৫৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধেও কোন মামলা হয়নি।
এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য কামরাঙ্গীরচর থানায় ফোন করা হলে ওসি তদন্ত জানান, আমার জানামতে মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।
উল্লেখ্য ৫ আগষ্টে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের চুড়ান্ত পতনের পূর্ন মুহুর্তে সকাল ১০টায় ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে ট্রাক ভর্তি করে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে কামরাঙ্গীরচর থেকে বের হওয়ার সময়ে ছাত্র-জনতার আক্রমনের মুখে পড়ে নরপিচাস মোহাম্মদ হোসেন সদলবলে পাশ্ববর্তী লালবাগ থানায় আশ্রয় নেয়।
এ সময়ে ছাত্র-জনতা মোহাম্মদ হোসেনকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দাবী জানানোর এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠি চার্জ শুরু করে। সে সময়ে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা থানায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে তাদের উপরে এলোপাতারি গুলি বর্ষণ করা হয়। ঔ দিন রাতভর দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি হামলার এক পর্যায়ে ভোরে পুলিশ থানা থেকে পালিয়ে যায় সে সময় মোহাম্মদ হোসেনেও শটকে পড়ে।