কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা : গত রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর স্বৈরাচার দোসর ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের রাসেল মেম্বারকে প্যানেল চেয়ারম্যান থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কোন্ডা ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের সাথে কোন পরামর্শ না করে নিজেই অর্থের বিনিময়ে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলেন কোন্ডা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রাসেল মেম্বার।
আওয়ামী লীগ সরকার আমলের ক্ষমতা প্রভাব খাটিয়ে বিনা ভোটে ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হন তিনি। মেম্বার হওয়ার পর থেকেই নানান অপকর্ম সাথে জড়িয়ে পরেন স্থানীয় শিষ্য আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়া।
এলাকার প্রাচীনতম মঠ ভেঙ্গে সেখানে তৈরী করেন আবাসন প্রকল্প। একই এলাকায় মুসলিম সমাজের কবরস্থান ভরাট করে সেখানেও তৈরি করেন আরও একটি আবসন প্রকল্প। এইভাবেই দিনে দিনে বনে যান শত কোটি টাকার মালিক।
তারই আধিপত্য বজায় রাখতে এবং সকল প্রকার সম্পত্তি রক্ষার্থে প্যানেল চেয়ারম্যান হওয়ার প্রথম কৌশল ছিলো।
কেরাণীগঞ্জে ৫ আগস্টের পরে যে ক’জন স্বৈরাচারী সরকারের দোসর অর্থের ব্যবহার করে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে সুযোগ নিতে চেয়েছে তাদের মধ্যে কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের রাসেল মেম্বার অন্যতম।
বিশেষ করে সৈরাচারী সরকারের সময়ে শিক্ষার্থীরা যখন সরকার পতনের ডাক দেয় তখন কোন্ডা ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা যেন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহন করে এবং বিশেষ ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারও করে রাসেল মেম্বার।
এলাকার ছাত্র-জনতা কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। সৈরাচারী সরকারের দোসর ও ভূমিদস্যু রাসেলকে প্যানেল চেয়ারম্যানসহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থেকে বহিষ্কার করা জন্য।
সেই লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকল প্রকার অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ছাত্র সমাজকে নিশ্চিত করেন যে সৈরাচারী সরকারের কোন দোসরকে সুযোগ দেয়া হবে না।
বিযয়টি ডিসি মহোদয় অবগতি হলে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ মোতাবেক সরকার বিভাগের পরিপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী কেরানীগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রশাসনিক দায়িত্ব প্রদান করেন।
এই খবর কেরানীগঞ্জ উপজেলা কোন্ডা ইউনিয়ন ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভকারী ছাত্র জনতার উৎফুল্লতা বিরাজ করে। সেই সূত্র ধরে রবিবার সকালে কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ উৎসব করতে দেখা গেছে ছাত্র জনতার।