জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া আফিফ হোসেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে লিস্ট ‘এ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। তার ১১১ রানের সুবাদে বড় জয় পেয়েছে ঐতিহ্যবাহীরা।
আফিফের সেঞ্চুরিতে আবাহনী ২৮৫ রান সংগ্রহ করে। জবাবে প্রাইম ব্যাংক থেমেছে ২৪৩ রানে। তাতে ৪২ রানের জয়ে শিরোপার কাছে পৌঁছে গেছে আবাহনী। ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ২৮৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১৪ রানে ওপেনার শাহাদাত হোসেন দিপুকে (৫) হারায় প্রাইম ব্যাংক। দ্বিতীয় উইকেটে প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ও জাকির হাসান ৬৮ রানের জুটিতে ইনিংস সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। জাকির ৫১ বলে আউটের পর দ্রুত মোহাম্মদ মিঠুন (১৬), নাসির হোসেন (০) ও আল আমিন জুনিয়র (২৬) বিদায় নিলে চাপে পড়ে যায় তারা।
এরপর সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলা নাবিলও ফিরলে প্রতিরোধ গড়ার মতো ছিল না আর কেউ। ৭৪ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান নাবিল। মিডল অর্ডারে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স না থাকায় প্রাইম ব্যাংককে ৪৫.৪ ওভারে ২৪৩ রানে থামতে হয়েছে। মিডল অর্ডারে নামা অলক কাপালি ৪০ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। আবাহনী বোলারদের মধ্যে রিপন মাগুল, তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম ও রিশাদ হোসেন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
প্রথমে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না আবাহনীর। চলতি লিগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখের কেউ বড় রান পাননি। এনামুল ৩১ রানে আউট হওয়ার পর নাঈম ২৬ রানে ফিরেছেন। স্কোরবোর্ডে আর ১৭ যোগ হতে আউট হয়েছেন তিন নম্বরে নামা মাহমুদুল হাসান জয়ও। ৯০ রানে তিন উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও আফিফ হোসেনের ১৪০ রানের জুটিতেই পাল্টা আক্রমণ হানে আবাহনী। এই দু’ই জনের ব্যাটিং স্কোরকে আড়ইশোর কাছাকাছি নিয়ে যেতে অবদান রেখেছে।
মোসাদ্দেক ৭৬ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৭ রানে আউট হলে দারুণ এই জুটির অবসান ঘটে। এরপর ৯ বলে ১২ রান করে আউট হন খুশদিল শাহ। ৬ষ্ঠ উইকেটে আফিফ ও জাকের আলী অনিকের ২৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই স্কোর ২৮৫ রান পর্যন্ত গেছে। অনিক ৫ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকলেও আফিফ পেয়েছেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরি। ১০১ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় আফিফ ১১১ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বোলারদের মধ্যে কাশিফ ভাট্টি ও শেখ মেহেদী হাসান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া রেজাউর রহমান রাজা নেন একটি উইকেট।