দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
দেবিদ্বারে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ও কথা কাটাকাটির জেরে বড় ভাই, ভাবি ও ভাতিজাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আপন ছোট ভাই ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম।
উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে গত ২৬মে রোববার সকালে ও একইদিন সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত ভুক্তভোগী সফিকুলের স্ত্রী বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় সফিকুল ইসলাম তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম ও স্ত্রী লিপি আক্তার, দুই ছেলে রাকিব ও শান্তকে অভিযুক্ত করে দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেল থেকে তদন্ত করছে পুলিশ।
সফিকুল ইসলাম আরো জানায়, এই ঘটনার আগে অন্তত দশবার আমাদেরকে মারধর করেছে আমার ছোট ভাই ও তার পরিবার। ছোট ভাইয়ের বউ অন্যায় করছে, আমি মায়ের কাছে বিচার দিছি। এ কারনে আমার ছোট ভাই মায়ের সামনে আমাকে দুইটা থাপ্পড় দিছে, একটা লাথি মারছে ও গলায় চিপ দিয়ে ধরে বলছে পরেরবার যদি তার সাথে লাগতে যাই বেশি ভালো হবে না। একই দিন সন্ধ্যায় আমার স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়েছে আমার ভাই। আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে গেলে দুই ভাতিজা মিলে আমার ছেলেকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়েছে।
ছোট ছেলের নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে নব্বই বছর বয়সী বৃদ্ধা জোবেদা খাতুন বলেন, কষ্ট করে ছেলেকে এতো পড়ালেখা করাইছি। আজকা ছেলে বড় হয়ে গেছে। আমাদেরকে চিনে না। আমার বড় পোলাটা সহজ সরল। মাছ ধরার জাল টেনে আমারে ও তার সংসার পালে। ওই দিন কিনাকি কইছে আমার সামনে এই সরল পোলাটারে থাপ্পর ও লাথি মারছে। মারার পর উঠানে বেড়া দিয়ে রাখছে। একই দিন সন্ধ্যায় কোনো কারন ছাড়া আমার পোলার বউ ও নাতিটারে মারছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রফিকুল সফিকুলদের প্রতিবেশীরা জানায়, রফিকুল বাগেরহাট সার্ভেয়ার অফিসে চাকরি করেন। অঢেল অর্থ, সম্পত্তি আছে তার। কিন্তু মাকে একটি টাকাও দেন না তিনি। সে বউয়ের কথায় উঠে বসে। গ্রামের বাড়ি আসলে কিছু একটা হলেই বড় ভাই ও তার পরিবারের উপর অমানবিকতা নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রফিকুল কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
দেবিদ্বার থানার এস আই মিশন চক্রবর্তী জানায়, অভিযুক্তলে গিয়েছিলাম গতকাল। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।