নিজস্ব প্রতিবেদক:
লীগ সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ২যুগের বেশি সময় ধরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রাম রাজত্ব কায়েম করেছেন হিসাব রক্ষক শেখ নাসির উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করলে কিংবা নিউজ করলে আওয়ামী লীগের আমলে হাজির হতে জিয়া নামের এক আওয়ামী দালাল। এই লুটেরা শেখ নাসির প্রতারণা, মিথ্যাচার,গুন্ডা বাহিনী লালন করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালকে তার কব্জায় নিয়েছেন। তার অবৈধ কাজকর্মের বিবরণ তুলে রিপোর্ট করতে গেলে দেয়া হয় বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি।আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরে হাসপাতালের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, অ্যাক্সেসরিজ সাপ্লাই নিয়ন্ত্রণ সহ আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ নিয়ে বানিয়েছিলেন এক ক্যাডার বাহিনী ।যার ফলে হাসপাতালে তার উপরে কথা বলার কেউ ছিল না।
দুই যুগের বেশি সময় একই পদে একই হাসপাতালে চাকরি করার সুবাদে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। উক্ত হাসপাতালের সকল ঠিকাদার ও সাপ্লাইয়ার হিসাব রক্ষক নাসির উদ্দীনের হাতে জিম্মি। যার ফলে হাসপাতালে তার উপরে কথা বলার কেউ নেই। তার এই সকল অবৈধ কাজের সহযোগিতা করে তার শ্যালক শেখ জিয়াউর রহমান।শেখ নাসির উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি খুলনা, বর্তমানে তিনি মিরপুরের ১৭/৩/বি/৩ তৌহিদ টাওয়ার টোলারবাগ সেখানে স্ত্রীর নামে তিনটি ফ্ল্যাট ক্রয় করে বসবাস করছেন। তিনটি ফ্ল্যাটের বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৫ কোটি টাকা।
বিলাসী জীবন পরিচালনার জন্য রয়েছে ঢাকা মেট্রো এঅ-৪২-৬৯৬৪ প্রিমিও ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি। এই গাড়ি করে ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাতায়াত করেন, নাসিরুদ্দিনের ব্যবহারের জন্য রয়েছে আলাদা গাড়ি। উক্ত গাড়িটি শেখ নাসির উদ্দিনের শাশুড়ি আফরোজা বেগমের নামে ক্রয় করেন। মিরপুরে জিহা এন্টারপ্রাইজ (১৭/৫ মাজার মার্কেট টোলারবাগ মিরপুর ১) নামে রয়েছে একটি বিশাল জেনারেল স্টোর যা পরিচালনা করেন স্ত্রী এবং আত্মীয়-স্বজন। এছাড়া গ্রামের বাড়ি এবং বিভিন্ন শহরে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
সরেজমিনে উঠে আসে,আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী এবং অর্থ যোগানদাতা শেখ নাসির উদ্দিন আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে কামিয়েছেন শত কোটি টাকা। কিনেছেন নিজ নামে এবং পরিবারের নামে একাধিক ফ্ল্যাট, রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি। নামে বেনামে রয়েছে একাধিক ব্যাংকে একাউন্ট। শালা, সমন্ধি, শাশুড়ি তার আত্মীয়স্বজনের নামে খুলেছেন ব্যবসা-বাণিজ্য। মিরপুর তার স্ত্রীর নামে রয়েছে একটি শপিংমল।
গত ১০ বছর যাবৎ নিজ নামে গ্রহণ করেছেন সরকারি বাসা,নিজে সেখানে অবস্থান না করে বহিরাগতদের ভাড়া দিয়ে কামিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। একাধিক সূত্র মতে জানা যায়, হাসপাতালের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী শেখ নাসির উদ্দিনের বিরাগ ভাজন হতে চান না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শেখ নাসিরউদ্দিনের ভয়ে তথষ্ট থাকেন। ক্যাডার বাহিনী তার মাঠ নিয়ন্ত্রন করার কারণে শেখ নাসির উদ্দিন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল হলেও বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে বিগত সরকারের আমলে তা ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন তার কথিত আওয়ামীলীগ আত্মীয় জিয়ার মাধ্যমে শেখ নাসির উদ্দিন। কিন্তু আওয়ামিলীগ সরকার আমলে নাসিরের হয়ে যে জিয়া দালালি করতে প্রতিবেদককে কল করে হুমকি দেন সে-ই আবার
এখনকার প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙাতে মরিয়া। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র জানায়, জিয়া প্রায় দুইযুগ ধরে নাসিরের ঠিকাদার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।এতদ্বসংক্রান্তে শেখ নাসির উদ্দিনের সংগে বারবার দেখা করতে গেলেও দেখা মেলেনি, এমনকি সেলফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।