স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাবেক মৌলভীবাজার জেলার ডিসি, ময়মানসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার এবং বর্তমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান (এনডিসি)(৫৭২৭-১১তম ব্যাচ) তিনি ফ্যাসিস্টস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট সচিব। তিনি বিভাগীয় কমিশনার থাকাকালীন সময়ে টাকার বিনিময়ে ইউএনও, এসিল্যান্ডদের পোস্টিং দিতেন। তাছাড়া তিনি ডিসি থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন ঘুষ গ্রহন, ক্ষমতার অপব্যবহার, চাদাবাজি, লুটপাট, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। খাস জমি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে লীজ দিতেন। তিনি সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান এর পিএস শামীম এর সাথে মিলে বিভিন্ন পিআইও, এবং ডিআরআরও বদলী বানিজ্য এবং জিআর, টিআর, কাবিটা/কাবিখার ৪০/৪৫% কমিশন বানিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।২৩-২৪ অর্থ বছরে ৪০১ কোটি টাকার ৫০% টাকা বিনিময় করে মন্ত্রী এবং সচিব বরাদ্দ প্রদান করেন। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তা নিয়ে অনেকবার লেখালেখি করলে অদৃশ্য ইশারায় তা আবার গায়েব করে দিতেন। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক স্টাইলে সংবাদ কর্মীদেরকে হুমকি প্রদানও করতেন।ডাঃ শামীমকে নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির খবর নিয়ে লেখালেখি চলমান। খোজ নিয়ে জানা যায় সচিব মোঃ কামরুল হাসান গত ০৫ তারিখে আওয়ামীলীগের পলায়নের পর থেকে সবার সাথে গা ঢাকা দিয়ে বিএনপি সেজে বড় নেতাদের(স্থায়ী কমিটির সদস্যদের) সাথে যোগসাজশে চেয়ার টিকিয়ে রেখেছেন। সম্প্রতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আবু নাছের বাবর নামের একজন জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে ১.৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে গ্রামীন রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পে ডিপিডি হিসেবে পদায়ন করেন। খোজ নিয়ে আরো জানা যায় সচিব মোঃ কামরুল হাসান প্রতিদিন ২০/৩০ জন পিআইও ও ডিআরআরও সর্বনিম্ন ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে বদলি বানিজ্য করে যাচ্ছেন। ডিপিডি আবু নাছের বাবর মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া যখন ত্রাণ মন্ত্রী ছিলে তখন তার দুর্নীতির মূল হোতা আকাশ কুমার ভৌমিকের একনিষ্ঠ লোক ছিলেন সহ-প্রকৌশলী বাবর। আকাশ কুমার ভৌমিক বাবরের মাধ্যমে অধিদপ্তরের দুর্নীতির সকল টাকা উত্তলন করতেন। কম্বল থেকে শুরু করে যতরকমের শুকনা খাবার এবং ঢেউটিনসহ সবকিছু প্রভাতী এন্টারপ্রাইজ এবং তালুকদার এন্ড কোং নামীয় আরো কয়েকটি ঠিকাদার বাবরের নিয়ন্ত্রিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নামে দরপত্র সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ঘোষণা করতেন। উল্লেখ্য যে আগে এই বাবর এই প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত অবস্থায় প্রকল্প পরিচালক আইনুল কবির এর সহযোগীতায় সঠিক পদ্ধতি না মেনে ১০৬ জন আউট সোর্সিং এ কার্যসহকারী নিয়োগ দেয়। কয়েকজন নিয়োগকৃত কার্য-সহকারীর সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় পিডি এবং বাবর সিন্ডিকেট করে জনপ্রতি ৭/৮ লাখ করে টাকা করে আদায় করেন। যারা টাকা দিতে পারেনি তাদের কাউকে এ প্রকল্পে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বর্তমানে বাবর ডিপিডি হওয়াতে এ অধিদপ্তরের দুর্নীতির পরিমান অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে বলে জানা যায়। সে ব্রীজ প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কর্মরত থাকা অবস্থায় ধারনা করা হচ্ছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অধিক মালিক বনে যান তিনি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ রাস্তায় সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিডি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে ব্রীজের বিল ছাড়ার উৎকোচ এর পরিমান বেড়ে গেছে বলে শুনা যাচ্ছে তিনি ফাইল প্রতি টাকা কম হলে বলেন ১.৫ কোটি টাকার বিনিময়ে হয়েছি ডিপিডি টাকা তুলতে হবে না হয় টাকা বানের জ্বলে ভেসে যাবে। ওনার বিষয়ে খোজ নিয়ে আরো জানা যায় ডিপিডি বাবর এর গ্রামের বাড়ি ফেনীতে রয়েছে তার নিজ নামে ও আত্মীয় স্বজনের নামে বেনামে অঢেল সম্পদ, ঢাকাতে শান্তিনগর রয়েছে একাধিক ফ্লাট, ঢাকার পূর্বাচলে রয়েছে ১০ কাঠার ০২ টি প্লট, চট্টগ্রাম জালালাবাদ হাউজিং এ রয়েছে ০৬ টি ফ্লাট, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জে ব্লকে রয়েছে ১০ কাঠা প্লট, তাছাড়াও শহরে বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে রয়েছে একাধিক ফ্লাট এ ব্যাপারে আবু-নাছের বাবরকে মুঠোফোন কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। এ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা জনাব ফারুক ই আযম এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য মুঠোফোন একাধিকবার কল করা হয়েছে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।