নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্খানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর চারটি লিফট চুরির ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ চুরির মূল হোতা হিসেবে উঠে এসেছে মেকানিক্যাল শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমানের নাম, যিনি এলজিইডি সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর তাকে রক্ষায় সরাসরি জড়িত সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আলি আখতার।
জানা গেছে, গত ২০ ও ২১ আগস্টে এলজিইডি’র প্রধান ভবন থেকে চারটি লিফটসহ কিছু মূল্যবান মালামাল চুরি হয়। ওই সময় সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ রাখা হয়। চুরি হওয়া লিফটগুলো পরে ৩৮ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়, যার মধ্যে ৩০ লাখ টাকা আতাউর রহমান আত্মসাৎ করেন। এই চুরির ঘটনার পেছনে আতাউর রহমান ও তার সহযোগী চক্র সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, সংবাদ মাধ্যমে চুরির খবর প্রকাশ পাওয়ার পর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আলি আখতার আতাউর রহমানকে রক্ষা করতে নানা নাটক সাজান। ২ অক্টোবর সিসিটিভি বন্ধ রেখে চুরি হওয়া কিছু যন্ত্রপাতি এলজিইডি ভবনের বেজমেন্টে ফিরিয়ে এনে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনকে মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা করা হয়।
এছাড়া, একটি তথাকথিত মিডিয়া কনসালট্যান্টের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়ারও চেষ্টা চালানো হয়।
চুরির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হলেও তদন্তে সিন্ডিকেটের কার্যকলাপের গভীর কোনো তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। বরং, সিসিটিভির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নতুন পাসওয়ার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় প্রধান প্রকৌশলীর ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের কর্মকাণ্ডে এলজিইডি’র অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা শিগগিরই এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।