আন্তর্জাতিক প্রবাসী মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানবিক আলোচনা সভা
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। আন্তর্জাতিক প্রবাসী মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের পটুয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে সহায়তা বিতরণ ও আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে সমাজের পিছিয়ে পড়া ও প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে হুইলচেয়ার, ক্রাচ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মোর্শেদা বেগম মৌ। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক বিচারপতি সিকদার মকবুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহিদুল হারুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) মো. তারেক হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. অপু সরোয়ার, আন্তর্জাতিক প্রবাসী মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুজ্জামান, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী আল মামুন, ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ সেলিম, আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম বাচ্চু এবং সংগঠনের শতাধিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ও বরিশাল বেতারের সংবাদ পাঠিকা রুখসানা আরা ইসলাম।
বক্তারা বলেন, সমাজের অগ্রগতিতে প্রতিবন্ধী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়ের দায়িত্ব। মানবিক সমাজ গঠনে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগকে সমন্বিত করতে হবে।
প্রধান অতিথি বিচারপতি সিকদার মকবুল হক বলেন, মানবাধিকার শুধু কাগজে-কলমে নয়, তা বাস্তবে প্রতিষ্ঠিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। আজকের এই উদ্যোগ সমাজে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।”
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় এমন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই, যাতে কোনো প্রতিবন্ধী বা অসহায় মানুষ অবহেলিত না থাকে। প্রবাসে মৃত্যুবরণ করা প্রবাসীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফেরাতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।”
জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন,“মানবিক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মানবতার সেবাই প্রকৃত দেশপ্রেম।”
সহায়তা পেয়ে উপস্থিত সুবিধাভোগীরা আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিরা দেশের প্রবাসী ও মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে আরও ব্যাপকভাবে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।