শিরোনাম
দেশের গণতান্ত্রিক শাসন অব্যাহত রাখতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তা চাইলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রতীকী ফাঁসি মঞ্চস্থ করে দিনাজপুর-২ আসনে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়কে মানববন্ধন ফটিকছড়িতে  বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন  প্রয়াত পিতাকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন স্ট্যাটাস রাণীশংকৈলে কৃষি অফিসের কাজে ব্যাবহৃত ১৯ টি মেশিন ও সোলার পাম্প দিনমজুরের বাড়িতে ফটিকছড়ি আসনের এমপি পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সমর্থনে প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত বরিশাল-২ এ আগুন ঝরালেন নিক্সন! গণতন্ত্রের মঞ্চে জনতার ঢেউ, ফ্যাসিস্টদের টান টান টেনশন ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী রংগ – ঢাকার মাস্তান দাবী করা প্রার্থীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল নিজের মতাদর্শের সরকার থাকলেও চোখে চোখ রেখে কথা বলতে ও লিখতে পারলেই সাংবাদিকদের দুর্ভোগ ও হতাশার মুক্তি মিলবে : এম আব্দুল্লাহ যারা ব্যক্তি স্বার্থে ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে আঁতাত করে তারা দলের শত্রু – শুভেচ্ছা সমাবেশে মনিরুল হক চৌধুরী

বরিশালের “বীরপুরুষ” হাসানাত-দুদকের জালে এবার “অপরাজিত” নেতা!

Mehraz Rabbi

মাঠে নেই, ছায়ায় আছে-তবু শহরে ঘুরে বেড়ায় তার ফটোকপি সৈনিকেরা!

বাংলাদেশে দুর্নীতি করলে কী হয় জানেন? কিছুই হয় না,যদি না আপনার ভাগ্য হঠাৎ দুদকের দরজায় গিয়ে ধাক্কা খায়। এই তো, শেখ হাসিনার আত্মীয়, সাবেক চিফ হুইপ, বরিশালের রাজনীতির বটগাছ-আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ-অবশেষে সেই দুদকের রাডারে!
অভিযোগ? সামান্য ১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ আর ৮০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন। বাংলাদেশে ১০ টাকার পেঁয়াজে চোখে পানি আসে, কিন্তু ১০০ কোটি টাকায় কারো মুখে একফোঁটা “অফসোস” নেই!

রাজনীতির “চেইন রিঅ্যাকশন”-নেতা গেলেও দালাল বেঁচে থাকে!

হাসানাত এখন ভারতের ছত্রছায়ায় নাকি বিশ্রামে আছেন। কিন্তু বরিশালের গলিতে গলিতে তার ছায়া নাচে,যে ফটোগ্রাফার একসময় ছবি তুলত, সে এখন কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক,যে নেতা তার নামের ব্যানার মেলত, সে এখন “বিরোধী দলের ঘরানা” হয়ে টিকে আছে,আর মিডিয়ার সেই “ফ্যাসিস্ট পোষা কর্নধাররা”,এখন দু’চোখে নিরপেক্ষতার চশমা পরে, গণতন্ত্র রক্ষার” গল্প শোনায়!
কেউ এখন বিএনপি ঘেঁষা, কেউ জামায়াতমুখী,
শুধু “অন্তর” একই স্লোগান “যেখানে সুবিধা, সেখানেই ঈমান!”

মিডিয়ার মঞ্চে নতুন চরিত্র…

যে মিডিয়া একসময় হাসানাতের প্রেস রিলিজ ছাপত শিরোনামে,আজ সেই মিডিয়াই দুর্নীতিবাজদের বিচার চাই” বলে কাঁদে! আসলে মিডিয়ারও একটা “নীতিমালা” আছে
বেতন যেই দেয়, সত্য তার পক্ষেই থাকে।”
ফলে সাংবাদিকতা এখন যেন হরলিক্সের মতো
প্রতিদিন সকালে খান, আর বিকেলে যার জুস মিষ্টি, তার খবর মিষ্টি করে দেন!

শহরের হঠাৎ ধনী ক্লাব..

দুদক নাকি মামলা করেছে,কিন্তু শহরে এখনো ঘুরে বেড়ায় অঘোষিত কোটিপতিরা,যাদের ব্যাংক ব্যালেন্সে আছে হাসানাতের আশীর্বাদ, যাদের বাড়িতে আছে রাজনীতির “লুটের স্মারক, আর মুখে এখন শ্লোগান, আমরা তো উন্নয়নের সহযোগী ছিলাম! বরিশালের অলিতে-গলিতে এখন একটা নতুন ফ্যাশন, আগে আওয়ামী, এখন বিএনপি” চুলের স্টাইলের মতো দল বদল হয় মিনিটে মিনিটে!

 

দুদক ধরেছে একটাকে, বাকি সবাই প্রস্তুত পরবর্তী হাসানাত হতে!

 

দুদককে সাধুবাদ,কমপক্ষে মনে হয়েছে, দেশে এখনো একটা কমিশন আছে। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়, যে নেটওয়ার্ক ১৬ বছর ধরে বরিশাল থেকে শুরু করে ঢাকায় টাকা বইয়েছে, সেই শিকড়ে কবে হাত যাবে? যতদিন পর্যন্ত রাজনীতি থাকবে “ব্যবসার লাইসেন্স” আর মিডিয়া থাকবে “মুখ রক্ষার ইঞ্জিন,ততদিন পর্যন্ত নতুন নতুন হাসানাত জন্ম নেবে,কেউ এমপি হবে, কেউ মিডিয়া মালিক, কেউ ধর্মভিত্তিক ত্রাণ ব্যবসায়ী!

দুদক যদি সত্যিই ন্যায় চায়,

তাহলে শুধু নেতা নয়,তার চারপাশের মিডিয়া-দালাল সুবিধাবাদী সিন্ডিকেট” ধরুন! কারণ, ইতিহাস বলে, হাসানাতরা পড়ে, কিন্তু হাসানাততন্ত্র টিকে থাকে!

Leave a Reply