শিরোনাম
তিস্তা মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে অবস্থান কর্মসূচি পালন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা পঞ্চগড়ের বোদায় ইমাম নিয়ে বিরোধ, হাতাহাতিতে আহত কয়েকজন আওয়ামী আনুগত্যকারীদের প্রশাসন থেকে সরাতে হবে, প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি: মির্জা ফখরুল রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আ.লীগের ঝটিকা মিছিলের চেষ্টায় গ্রেপ্তার ০৮ ফটিকছড়িতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা নিয়ে সমবায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন রংপুরে জাতীয় দৈনিক ‘ঢাকা পত্রিকা’র ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার ১৬ বুড়িচং মোকাম ইউনিয়ন জাসাস এর নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

তিস্তা মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে অবস্থান কর্মসূচি পালন

Juyel Khandokar

উত্তরবঙ্গের জীবনরেখা তিস্তা নদীকে ঘিরে ঘোষিত “তিস্তা মহা-পরিকল্পনা” দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে ছাত্র ও সাধারণ জনগণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র মাহির ফয়সালের নেতৃত্বে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি রংপুর মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি মোঃ রায়হান সিরাজি, গঙ্গাচড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ নায়েবউজ্জামান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের সাবেক জেলা সমন্বয়ক ইমরান কবীর,নাহিদ হোসেন খন্দকার,রংপুর জেলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ মোতাওয়াক্কিল বিল্লাহসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, “রংপুর অঞ্চলের দীর্ঘদিনের বৈষম্য দূর করতে তিস্তা মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে, নতুবা উত্তরের মানুষ আবারও বঞ্চিত হবে।” তারা আরও বলেন, “তিস্তা বৈষম্য দূর করতে একটি জাতীয় ‘তিস্তা সনদ’ প্রণয়ন করতে হবে, যাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের স্বাক্ষর থাকে। রংপুর বরাবরই উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়েও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।” বক্তারা সতর্ক করে বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দ্রুত নিয়োগ দিয়ে তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। প্রয়োজনে রংপুরসহ সারাদেশে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা তিস্তা প্রকল্পকে উত্তরাঞ্চলের জীবনরেখা হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কৃষি, মৎস্য ও স্থানীয় অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হবে। নদীর খরস্রোত ও ভাঙন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।” তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান—“রাজনীতি নয়, তিস্তা বাঁচাও; উত্তরবঙ্গ বাঁচাও”—এই অঙ্গীকারে দ্রুত বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের।

Leave a Reply