শিরোনাম
রংপুরে তিন সাসে ৩৭ জন ধর্ষণের শিকার ১৩টি খুন ৮৯৯ অপরাধ সংগঠিত রংপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি জেলা পুলিশের শ্রদ্ধা নিবেদন এক হাদির রক্তের ওপর লাখো হাদি দাঁড়িয়ে যাবে: হেফাজতে ইসলাম সবাই হাদি হতে পারে না, আমি চেষ্টা করেও পারিনি: মাহমুদুর রহমান রুহুল কবীর রিজভীর দুঃখ প্রকাশ টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ হাদিকে গুলি: ফেনী সীমান্তে বিজিবির তল্লাশি ও টহল জোরদার আমার নিরাপত্তা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা গভীর উদ্বিগ্ন: প্রেস সচিব দানে ইউ এন ( UN) ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা, ৬ জন বাংলাদেশি সেনা নিহত, জানায় আই এস পি আর শহর থেকে গ্রামের বাড়ি গেলেন বেড়াতে, রাতে গলা কেটে হত্যা

গাইবান্ধায় এসপি, ওসির বিরুদ্ধে এসআইয়ের স্ত্রীর মামলা

Chif Editor

গাইবান্ধায় ডেকে নিয়ে উপ পরিদর্শক (এসআই) এর ব্যক্তিগত মোবাইল ও ল্যাপটপ আটকে রাখার অভিযোগে পুলিশ সুপার (এসপি), সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান।

বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে গাইবান্ধা সদর আমলী আদালতে ভুক্তভোগী এস আই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যঞ্জেলা, গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার, লালমনিরহাট জেলার তারেকুজ্জামান তুহিন (২৩)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদীর স্বামী এসআই মনিরুজ্জামান তখন গাইবান্ধা সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। মনিরুজ্জামানের আত্নীয় আসামি তারেকুজ্জামান তুহিন পারিবারিক শক্রতার জেরে এসআই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা এসপি কার্যালয়ে একটি মৌখিক অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগে চলতি বছরের ২৫ মার্চ পুলিশ সুপার ও ওসি, এসআই মনিরুজ্জামানকে এসপি কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। মনিরুজ্জামান এসপি কার্যালয়ে প্রবেশ করা মাত্রই গাইবান্ধার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ১৩ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। পরে মোবাইল ও ল্যাপটপ যাচাই-বাচাই শেষে ডিভাইসগুলো সদর থানার ওসির কাছে জমা রাখে।

এ সময় বিষয়টি বাহিরে প্রকাশ করলে চাকরির ক্ষতি হবে বলে ভয় দেখানো হয়। ভাড়াটিয়া গুণ্ডা দিয়ে গুম করার হুমকি দেয়া হয়। এক পর্যায়ে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে তাকে গাইবান্ধা থেকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়। পরে মনিরুজ্জামান উধ্বর্তন কতৃর্পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিষয়টি তিনি তার পরিবারকে জানান। পরে অভিযুক্তদের ভয়ভীতি ও চাপে নিরুপায় হয়ে প্রাণ বাঁচাতে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমলী আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

Leave a Reply