সিনিয়র রিপোর্টার বিশাল রহমান :-
ঠাকুরগাঁওয়ের ঢোলারহাটে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জিতেন্দ্রনাথের আত্মহত্যার নেপথ্যে বখে যাওয়া সন্তানের বাইক কিনে দিতে না পারার ব্যর্থতা বলে জানা গেছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গত ৩ নভেম্বর আনুমানিক সকাল সাড়ে এগারোটায়বাড়ীর গোয়ালঘরে ফাঁসি লাগিয়ে আত্মহত্যার করে ।
বাড়ির লোকজন রহস্যজনক কারণে লাশটি নামিয়ে রাখায় জনমনে বিভ্রান্তি ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে রুহিয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস,আই মজনু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত এস,আই মজনুকে জিজ্ঞেস করে জানা যায় মৃতের শরীরে প্রাথমিকভাবে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার একাধিক মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে মৃত জিতেন মাষ্টারের বখে যাওয়া সন্তান পার্থ দীর্ঘদিন ধরে বাইক কিনে দেওয়ার জন্য তাঁর পিতার উপর চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। আত্মহত্যার ঘটনার কয়েকদিন আগে জিতেন মাষ্টারকে প্রকাশ্য লাঞ্চিত করে পার্থ। বিষয়টি দেখে কয়েকজন প্রতিবেশী এগিয়ে এসে জিতেন মাষ্টারকে রক্ষা করে।
এ বিষয়ে কথা হয় ঐ গ্রামের কৃষক আব্দুল মোতালেবের সাথে। তিনি জানান মৃত জিতেন মাষ্টারের ছেলে পার্থ প্রায়ই বাইকের জন্য তাঁর বাবার উপর চাপ প্রয়োগ এবং দুর্ব্যবহার করতো। হয়তো এসব কারণে রাগে দূঃখে এবং অভিমানে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।
বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় চান্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।


