শিরোনাম
সূচনা মেমোরিয়াল ট্রাস্টের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ড্রামে মিলল মরদেহের ২৬ টুকরো, যা বললেন স্বজনেরা দিনাজপুর ২ (বিরল বোচাগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ এসএ পরিবহনের অফিসে সেনা বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় পন্য উদ্ধার আওয়ামী লীগ নেতাদের ছাড়িয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে যুবদল নেতার হুমকি রাণীশংকৈলে আওয়ামীলীগের ৪জন গ্রেপ্তার ওসি’র বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের অভিযোগ ভূজপুরে রাজনৈতিক মামলায় নিরীহ মানুষ গ্রেপ্তার: এসআই খালেদের অপসারণ দাবিতে থানাঘেরাওয়ের ঘোষণা রাণীশংকৈলে দুই মাথাওয়ালা বাছুরের জন্ম, একনজর দেখতে মানুষের ভিড় বরিশালে পেশাদার সাংবাদিকদের ৩৫ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটের মাঠে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী

ড্রামে মিলল মরদেহের ২৬ টুকরো, যা বললেন স্বজনেরা

Juyel Khandokar

শিল্পী আক্তার রংপুর ব্যুরো :- রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের সামনে থেকে দুটি নীল রঙের ড্রামে খণ্ডিত অবস্থায় আশরাফুল হকের (৪৩) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরের গোপালপুর নয়াপাড়া গ্রামে।

তিনি ছিলেন একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। তার বাবার নাম মো. আ. রশীদ। নিহত আশরাফুল হিলি থেকে কাঁচামাল কিনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি বিক্রি করতেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার হাইকোর্ট এলাকায় নীল রঙের ড্রামের ভেতরে আশরাফুল হকের ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ৭টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে সিআইডির টিম মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করে।

তবে কারা কীভাবে তাকে হত্যা করে জাতীয় ঈদগাহের সামনের সড়কে রেখে গেছে, তা এখনো জানতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের ধারণা, দু-একদিন আগে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

জানা গেছে, আশরাফুল হক তিন দিন আগে অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে রেখে প্রবাসী বন্ধু জরেজ মিয়ার সঙ্গে ঢাকা যান। এরপর থেকে স্ত্রী লাকী বেগম আশরাফুলকে ফোন করলে তার বন্ধু জরেজ ফোন রিসিভ করতেন। আশরাফুলের খোঁজ করলে তিনি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত আছেন বলে জানাতেন।

এদিকে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে ভাইয়ের সঙ্গে বদরগঞ্জ থানায় যান লাকী বেগম। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, ঢাকায় স্বামী আশরাফুল হকের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে ২টা ৩০ মিনিটের দিকে একটি ভ্যানে দুই ব্যক্তি এসে ড্রাম দুটি রাস্তার পাশে রেখে যায়। স্থানীয়রা এতটুকু বলতে পারছে। সন্ধ্যার দিকে যখন দুর্গন্ধ ছড়ায়, তখন পুলিশকে খবর দিলে ড্রাম খুলে চালের ভেতর থেকে কালো পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডিত মরদেহ বের করা হয়। আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্তে চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আশরাফুল হকের শ্যালক আব্দুল মজিদ, আশরাফুল তার বাবাকে রংপুরে একটি হাসপাতালে রেখে গত মঙ্গলবার মালয়েশিয়া ফেরত বন্ধু জরেজের সঙ্গে ঢাকায় যান। বুধবার বিকাল ৫টায় আশরাফুল তার স্ত্রী লাকী বেগমের সঙ্গে শেষ কথা বলেন। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। তাই তারা বৃহস্পতিবার বিকালে বদরগঞ্জ থানায় জিডি করতে আসেন। এখানে এসে জানতে পারেন, আশরাফুল হককে ঢাকায় খুন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গত বুধবার বিকালে আমার বোনের সঙ্গে কথা হয় আশরাফুলের। তখন তিনি বলেছেন, বাবা হাসপাতালে, রিলিজ দেবে, টাকা পয়সা দিয়েছি। বাবাকে বাড়ি নিয়া আইসো। এটাই শেষ কথা। এরপর থেকে আশরাফুলকে কল দিলে তার বন্ধু জরেজ ধরে আর বলে আশরাফুল ব্যস্ত আছে, কালেকশনে গেছে।

আব্দুল মজিদ আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার বোন আশরাফুলকে ফোন দিলে ফের জরেজ ফোন ধরে। কিন্তু আশরাফুলকে দেয় না। এজন্য বোন জরেজের স্ত্রীর কাছে যান। জরেজের স্ত্রী তাকে ফোন দিলে আশরাফুল ফোন ধরে না কেন জানতে চাইলে জরেজ জানায় আশরাফুলের ফোন ড্রেনে কুড়ায় পাইছে। এরপর বোনসহ থানায় আসি। এসে শুনি তাকে খুন করা হয়েছে। তার লাশ উদ্ধার হইছে ঢাকায়। এ কথা শোনার পর আমার বোন তো অজ্ঞান হয়ে গেছে। আমরা হত্যাকারীর বিচার চাই।

এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আতিকুর রহমান , নিহত আশরাফুল হকের স্ত্রী ও স্বজনেরা থানায় এসেছিল। তাদের কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন প্রকার তথ্য নিয়েছি। তথ্যগুলো রমনা থানার ওসিকে দিয়ে সহযোগিতা করছি।

Leave a Reply