আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত পরিবারের সন্তান বিএনপির মনোনয়নপ্রার্থী।
নিজস্ব প্রতিবেদক।। গণস্বাস্থ্য দখল, কোটি টাকার লোপাট, অপহরণ-হামলার অভিযোগ,ওই ব্যক্তির পরিবার থেকেই এবার বিএনপির সংসদ প্রার্থী হওয়ার দাবি।
গাজীপুর-৬ আসনকে ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক। আওয়ামী ঘরানার রাজনীতি ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার আলোয় দীর্ঘদিন থাকা ব্যক্তি ডা. নাজিমউদ্দিন আহমেদের ছেলে এখন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায়। তার বাবা যিনি গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ দখল, কোটি টাকা লোপাট, অপহরণ–হামলা, ব্যাংক জালিয়াতি, ৪২০ সহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি,এমন ব্যক্তি পরিবারের সন্তান বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন, এতে এলাকাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের একটাই প্রশ্ন,এটা কি যোগ্যতা, নাকি রাজনৈতিক ব্যবসা? গণস্বাস্থ্য দখলের ঘটনা-জাফরুল্লাহর মৃত্যুর ১০ দিনের মাথায় অপারেশন!
প্রখ্যাত চিকিৎসা ও জনতার ডাক্তার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যু হয় ২০২৩ সালে। তার মৃত্যুর ১০ দিন পরই কথিত চেয়ারম্যান ডা. নাজিমউদ্দিন আহমেদ সিন্ডিকেট শক্তি ব্যবহার করে সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ দখলে নেন।
অভিযোগ অনুযায়ী..মেডিকেলের আয়-ফি ভল্টে পুরে ফেলা,কোটি টাকার লোপাট,মাদক সেবন ও সিন্ডিকেট ভিত্তিক দখলদার রাজত্ব,ডাক্তার, নার্স ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা,বিরোধীদের অপহরণ,রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে থানায় মামলা খারিজের ব্যবস্থা,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সরাসরি প্রভাব
২৪ আগস্ট ২০২৪ সালে ছাত্র–জনতার গণআন্দোলনে গণস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানটি উদ্ধার হয়।
এরপর থেকেই ডা. নাজিমউদ্দিন পলাতক।
মামলা, পরোয়ানা, জালিয়াতি,অথচ রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ অটুট
ডা. নাজিমউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ…ব্যাংক লোন জালিয়াতি,৪২০,কোটি টাকার লোন আত্মসাৎ,দখল-হামলা-অপহরণ মামলা,ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় সিন্ডিকেটবাজি
জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ,এখনো টঙ্গীর নগর হাসপাতাল তার পরিবারের দখলে, মেয়েকে পরিচালক করে নিয়ন্ত্রণ
এত অভিযোগ ঝুলে থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘদিন নিরাপদ ছিলেন তিনি।এমন ব্যক্তির ছেলে এবার বিএনপির প্রার্থী হওয়ার দাবি,এলাকাজুড়ে ক্ষোভ
গাজীপুর-৬ আসনে মনোনয়ন পেতে ওই পরিবারের সন্তানের সক্রিয় প্রচারণা শুরু হতেই সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে,,
আওয়ামী পরিবারের সন্তান হঠাৎ বিএনপি? এটি কি জনগণকে ঠকানো, না কি রাজনৈতিক রঙ বদলের ব্যবসা?
চায়ের দোকান থেকে পাড়া-মহল্লা-সবখানেই একই আলোচনা…বিএনপির ত্যাগীদের প্রতি চরম অপমান,বছরের পর বছর লাঠি-টিয়ারগ্যাস-মামলা মাথায় থাকা নেতাদের ওপর অবিচার, বিতর্কিত পরিবারের সন্তান হলে জনগণ ভোট দেবে?
নৈতিকতা, আদর্শ ও যোগ্যতার স্থানে কি এখন পারিবারিক ব্যবসা?
স্থানীয়রা বলছেন,গাজীপুর-৬ আওয়ামী এজেন্ডাবাহী পরিবারের খেলার মাঠ নয়। বিএনপির ত্যাগীদের জায়গায় বিতর্কিত পরিবারের সন্তানকে চাপিয়ে দেওয়া অসম্মানজনক।”
বিএনপির ত্যাগ ও গাজীপুর-৬ আসনের সংবেদনশীলতা!
গাজীপুর-৬ বিএনপির ঐতিহ্যবাহী ত্যাগের জায়গা।মামলা, হামলা, গ্রেফতার, নির্যাতন,দলীয় নেতাকর্মীরা বহু বছর ধরে এখানে আন্দোলনের মুগুরটা কাঁধে নিয়ে হেঁটেছেন।
এমন এক জায়গায় হঠাৎ আওয়ামী ঘরানার রাজনৈতিক সুবিধাভোগীর সন্তান মনোনয়ন চাইলে সেটি দলের ত্যাগী নেতাদের প্রতি অবিচার বলে মনে করছেন তারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ: এটি আদর্শ নয়,এটি স্পষ্ট বাণিজ্যিক রাজনীতি,রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,এটি রঙ বদলানোর অপকৌশল।
জনমতকে ভুল পথে নিতে এক ধরনের রাজনৈতিক বিনিয়োগ,বিতর্কিত পরিবারের দায় এড়িয়ে নতুন ছদ্মবেশে প্রবেশ,বিএনপিকে ভিতর থেকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার চেষ্টা
পরিশেষে,, গাজীপুর-৬ আসন গণতন্ত্রের সংগ্রামের জায়গা।এখানে রঙ বদলানো রাজনীতিবিদ, বিতর্কিত পরিবারের সন্তান বা রাজনৈতিক ব্যবসায়ীদের জায়গা নেই।
স্থানীয় জনগণের সোজাসাপ্টা মন্তব্য…
এমন প্রার্থী মনোনয়ন চাইলে তা যোগ্যতা নয়,
এটা রাজনৈতিক বংশগত প্রতারণা।


