শিরোনাম
সংসারের দায়িত্ব সামলাতে না পেরে নিখোঁজ;ব্রিজের নিচে মিলল লাশ রামগঞ্জে ষড়যন্ত্রের শিকার ৪ সাংবাদিকের মামলা তদন্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএমইউজে মিঠামইন সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অনিয়মের অভিযোগে অপসারণ দাবি রাণীশংকৈলে ৩০ বছরের ক্রয় করা জমি দখলের অভিযোগ, ভূক্তভোগী পরিবার আতংকে রেজুলেশন দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকার মাদ্রাসার গাছ কর্তন-ইউএনওর বরাবরে অভিযোগ সাবেক সভাপতির ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা, পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে হারাগাছ মেট্রো পুলিশের অভিযানে জুয়ার সরঞ্জামসহ গ্ৰেফতার ৫ ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার রায়ে আবু সাঈদের পরিবার সন্তুষ্ট শেখ হাসিনার আত্মঘাতী সিদ্ধান্তই তাকে দেশছাড়া করেছে-রাকেশ রহমান রংপুরের উন্নয়ন ও ভাবনা শীর্ষক আলোচনা “তারুণ্যের চোখে রংপুর”

মিঠামইন সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অনিয়মের অভিযোগে অপসারণ দাবি

Juyel Khandokar

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা:- কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার তমিজা খাতুন সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তার জাহানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে অপসারণ দাবি করে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে তমিজা খাতুন সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তার জাহান আইন-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আবেদা আক্তার তার স্বামী আব্দুল হক নুরু ও ভাসুর সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের হাত ধরে তার শাশুরির নামের এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তারের স্বামী আব্দুল হক নুরু হাওরের সম্রাট হিসেবে পরিচিত।সে এই বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ দখল করে রাখেন ২৫ বছর। ক্ষমতার দাপটে বিধি-^বিধান উপেক্ষা করে তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা বিদ্যালয়টিকে আওয়ামী লীগের আস্তানা হিসেবে গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এলাকার জনসাধারনের নিজস্ব অর্থায়নে মিঠামইন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে তমিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে নামকরণ করা হয়। আবেদ আক্তার জাহান প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব নিয়ে তিনি মোটেও দায়িত্ব পালন করেননি। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ঢাকাতে বসবাস করে বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন। আওয়ামী লীগ সরকার পালানোর পর দীর্ঘদিন তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এখন প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তার জাহান মাঝেমধ্যে বিদ্যালয়ে আসেন। তিনি প্রায় সময় নিষিদ্ধ লীগকে নিয়ে বিদ্যালয়ের ভিতরেই গোপন বৈঠক করছেন এমন অভিযোগ ও এনেছেন এলাকার বিশিষ্টজনেরা।

৭১ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে বিদ্যালয়েরর প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তার জাহান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে এখন পর্যন্ত অনিয়ম ভাবে বিদ্যালয়টি নিজের ইচ্ছামতই পরিচালনা করছেন এবং নিষিদ্ধ দলের গোপন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাঁর স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তিনি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে ও অভিযোগ রয়েছে।

অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধান শিক্ষিকার লাগামহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে অভিভাবক ও স্থানীয় বাসী চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অপসারণ ও প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গত ১৭ নভেম্বর ৭১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ শিক্ষা উপদেষ্টার বরাবরে দায়ের করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগের কোন কিছুই সত্য না। ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে।

Leave a Reply