বিশাল রহমান, সিনিয়র রিপোর্টার :- দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশংকা
.. জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী মামলাগুলোতে ধীরগতি, মাঝে মাঝে চুনোপুঁটি ও নীরিহদের ধরে এনে আইওয়াশ চালালেও রাঘব বোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দায়েরকৃত মামলাগুলো তদন্তে ধীরগতি ও আসামি গ্রেফতারের বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জেলার সাতটি থানায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর নারকীয় হামলার মামলাগুলো তদন্তে এবং আসামি গ্রেফতারে পুলিশের বিরুদ্ধে নানাবিধ বৈষম্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাঘব বোয়ালদের বাদ দিয়ে খেটে খাওয়া গরীব নীরিহদের গ্রেফতার করে আইওয়াশ চালাচ্ছে পুলিশ। আওয়ামী লীগের যেসব নেতা লুটপাট ও দেশবিরোধী কর্মকান্ডের হোতা তাদের বাদ দিয়ে দলের নীরিহ গুরুত্বহীন লোকদের গ্রেফতার করা নিয়ে জেলাব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়েছে। এক অনুসন্ধানে জানা গেছে আওয়ামী লীগের আমলে ফায়দা নেওয়া ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র আন্দোলন দমনে গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা ইদানীং প্রকাশ্যে এসে বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও এদের বিরুদ্ধে পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকায় থাকলেও গ্রামগঞ্জের ও তৃনমূলের কিছু সাধারণ সমর্থক ও গরীব খেটে-খাওয়া হতদরিদ্র আওয়ামী লীগ সমর্থকদের গ্রেফতার করছে।
অথচ রাঘব বোয়াল ও সরাসরি হামলায় যুক্তরা বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে মাঠে নামলেও পুলিশ সেখানে নিস্ক্রিয় রয়েছে অজ্ঞাত কারণে। মামলা হামলায় সরাসরি যুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সাধারণ নীরিহদের গ্রেফতার নিয়ে এলাকায় নানা ধরনের গল্প দানা বাঁধছে। কেউ কেউ সরাসরি আর্থিক লেনদেনকে সামনে নিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত একাধিক সংগঠকগণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, টাকার বিনিময়ে পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের কিছু নেতাকে ম্যানেজ করে রাঘববোয়ালদের অনেকেই আয়েশী জীবন যাপন করছে।
এদিকে জেলার সাতটি থানার মধ্যে গ্রেফতারের ধীরগতির সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাংগী থানার বিরুদ্ধে। ঠাকুরগাঁও সদরে বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা আসামীদের প্রকাশ্য চলাফেরায় আতংকিত আন্দোলনের সাথে যুক্তদের অনেকেই। বৈষম্য বিরোধীগ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছাত্র নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে রাঘব বোয়ালদের বাদ দিয়ে চুনোপুটিদের ধরার নাটক বাদ দিয়ে প্রকৃত দোষী ও পেশাজীবিদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আসামীদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানিয়েছেন। তারা আরও অভিযোগ করে বলেন যে গত একমাসে এসব মামলায় যাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাঁর মধ্যে এক পাঁচ শতাংশও রাঘব বোয়ালদের কেউ না।
অপরদিকে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে পেশাজীবীদের দিয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে রয়েছে পতিত ফ্যাসিবাদী অপশক্তি। অবিলম্বে এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির দাবি স্থানীয় সুশীল সমাজের। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামের সাথেএ একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


