অভিষেক চন্দ্র রায়, রানীশংকৈল, ( ঠাকুরগাঁও )প্রতিনিধি :- ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার শতবর্ষী ‘ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। বয়স একশ হলেও নেই টয়লেটের ব্যবস্থা। পাঁচ বছর আগে সরকারি বরাদ্দের ওয়াশব্লক বরাদ্দ পেলেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলায় শিক্ষার পরিবেশ থেকে মনযোগ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কারণ সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাকৃতিক চাপ পেলেই দেওয়া হয় ছুটি। সেখানে নেই প্রাকৃতিক কাজ সারানোর কোনো উপায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৫টি শ্রেণির ৭২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। তাদের জন্য রয়েছে ছয়জন নারী শিক্ষিক। আরও দেখা যায় শ্রেণিকক্ষের একপাশে ওয়াশব্লকের কাজ চলছে। ২০২১ সালে সেই ওয়াশব্লকের কাজ শুরু হলেও কবে শেষ হবে কাজ জানেন না কেউ। পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন,আমাদের স্কুলে ক্লাসের সময় পায়খানার চাপ আসলে আমাদের বাড়ি চলে যেতে হয়। আর একবার বাড়ি গেলে অনেক দূর থেকে আবার হেটে স্কুলে আসতে ইচ্ছে করে না। পরে বাড়ি থেকে আবার স্কুলে আসতে না পারায় বাকি পড়া থেকে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।
প্রধান শিক্ষক মোরশেদা পারভীন বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর প্রাকৃতিক চাপ আসলেই আমরা সেই শিক্ষার্থীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। কারণ আমাদের এই বিদ্যালয়ে নেই কোনো বাথরুমের ব্যবস্থা। আমরা তাদের (শিক্ষার্থীদের) স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই তাদের বাড়িতে পাঠাই।
অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, এখানে নেই কোনো পড়ার পরিবেশ। মনে হচ্ছে খোলা মাঠে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। এখানে আমার আসার দুই বছর হলেও ওয়াশব্লকের কাজ চলছে ধীর গতিতে। এমনকি মাঝে মধ্যে কাজ হলেও তা করছে সরকারি ছুটির দিনে। কাজের বিষয়ে কাকে কি বলব ঠিকাদার কে তাও জানিনা।
এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে কোনো কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। তবে অফিস সহকারী বলেন ওই স্কুলের ওয়াশব্লকের তথ্য জেলা অফিস থেকে নিতে হবে। ঠাকুরগাঁও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান রোকন মুঠোফোনে বলেন, বিভিন্ন কারণে ওয়াশব্লকের কাজে ধীরগতি দেখা দিচ্ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কি বলব ভাই এ বিষয়ে বলার কোনো ভাষা আমার নেই। এজন্য সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদ হোসেনের সাথে কথা বলেন। কারণ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের কথা চিন্তা করে আমার লাভ নেই।



