শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে শতাধিক বেআইনি ইটভাটা আবারও আইনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে, নেপথ্যে শত কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য রানীশংকৈলে যথাযোগ্য মর্যাদায় বেগম রোকেয়া দিবস পালিত যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লা মুক্ত দিবস পালিত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ প্রকাশ: সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ দেশে সাড়ে ১৪ লাখ টন চাল মজুদ আছে: খাদ্য উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২২ কর্মকর্তাকে বদলি বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে কাল আসছে না এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ভাষণ রেকর্ডের বিষয়বস্তু এবং সময় সিইসি নির্ধারণ করবেন: ইসি সচিব নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো ধরনের আশঙ্কা করছি না: গোলাম পরওয়ার

ঠাকুরগাঁওয়ে শতাধিক বেআইনি ইটভাটা আবারও আইনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে, নেপথ্যে শত কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য

Chif Editor

সিনিয়র রিপোর্টার, বিশাল রহমান :- উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে আবারও আইনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে শতাধিক বেআইনি ইটভাটা। এসব ভাটার নেই কোন সরকারি অনুমোদন। জেলায় ১৩৬ ইটভাটা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।এরমধ্যে সরকারি অনুমোদন আছে পাঁচটি ইটভাটার। বাকিগুলো চলে বেআইনিভাবে।বেআইনি এসব ইটভাটার অধিকাংশের মালিক রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে প্রশাসনের সাথে গোপন চুক্তি করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এসব অনুমোদনহীন ইটভাটার মালিকদের নিকট থেকে কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি দূর্নীতিবাজ চক্র প্রতি বছর হাতিয়ে নেয় শত কোটি টাকা। জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে কয়েকটি ভাটা চললেও প্রশাসনের কোন বাঁধা নেই। মাঝে মাঝে লোক দেখানো দু-একটি ভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হলেও এতে বন্ধ হয়না তাদের কার্যক্রম। এদিকে এসব বেআইনি ইটভাটার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের জন্য বেআইনী ইটভাটার মালিকদের নিকট থেকে হুমকি ধামকি আসে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের উপর। সম্প্রতি দৈনিক জনকণ্ঠের রাণীশংকৈল প্রতিনিধিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবন নাশের হুমকি দেয় স্থানীয় এক অবৈধ ইটভাটা মালিক।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।ঠাকুরগাঁওয়ের শতাধিক অবৈধ ইটভাটা বেআইনিভাবে কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে একাধিকবার ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এবিষয়ে কোন বক্তব্য প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানান। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও অফিসের সহকারী পরিচালক তামিম হোসেন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে এবার কেউ বেআইনি ইটভাটা চালালে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।অপরদিকে ইটভাটা মালিকদের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইটভাটাগুলো নিয়মিত সরকারি কোষাগারে কর প্রদান করে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের এল.আর তহবিলে চাঁদা দেওয়ার দাবি তাদের।

প্রকাশ্য টাকা দেওয়ার পরেও নানা অপ্রকাশ্য লেনদেন না করলে ভাটায় বারবার অভিযান চালানোর অভিযোগ অনেক ইটভাটা মালিকদের। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মুরাদ হোসেন বলেন, আমরা সরকারি অনুমোদন নিয়েই ব্যবসা করতে ইচ্ছুক কিন্তু আমাদের আবেদনের পর নানা অজুহাতে অনুমোদন দেওয়া হয়না।তিনি অবিলম্বে জেলার সকল হাওয়া ভাটার সরকারি অনুমোদনের দাবি জানান। ঠাকুরগাঁওয়ের বেআইনী ইটভাটা প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রবীণ সাংবাদিক আ,ন,ম নজমুল হাসান বলেন, প্রশাসনের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা দুষ্টচক্র শতাধিক বেআইনি ইটভাটা থেকে প্রতি বছর শতকোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য চালায়।একইরকম অভিযোগ স্থানীয় সমাজ চিন্তক ও কলামিস্ট আজমত রানার।তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ইটভাটা চালানো বেআইনি হলেও প্রশাসনকে টাকা দিয়ে জেলায় এরকম দশটিরও বেশি ভাটা চলে। তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের পরিবেশ, প্রতিবেশ,প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে এসব বেআইনি ইটভাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের নিরবতার নেপথ্যে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগের সত্যত্বা খুঁজে পাওয়া যায়। ঠাকুরগাঁওয়ের পরিবেশ সচেতন মানুষ অবিলম্বে জেলার সকল ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়ার জোর দাবি জানান।

Leave a Reply