
নিউজ লিংক :- ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলম এ আদেশ দেন। রিমান্ডে তার জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন এবং পরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে বলেন, হত্যাচেষ্টার রহস্য উদঘাটনে আসামির রিমান্ড অত্যন্ত জরুরি। মোটরসাইকেলটি কীভাবে ঘটনাস্থলে গেল, যেহেতু মালিক নিজে তা চালাননি—এই বিষয়গুলো স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এজন্য সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করা হয়।
শুনানিকালে আসামি আব্দুল হান্নান আদালতে বলেন, তিনি মোটরসাইকেলটি মিরপুর মাজার রোড এলাকা থেকে কিনেছিলেন। অসুস্থতার কারণে পরিবারের সদস্যরা তাকে বাইক চালাতে নিষেধ করায় সেটি বাসায় পড়ে ছিল। পরে তিনি মোটরসাইকেলটি একটি শোরুমে বিক্রি করেন এবং মালিকানা পরিবর্তনের (নাম চেঞ্জ) বিষয়টি দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা ছিল। গ্রেপ্তারের সময় তিনি পুলিশকে সুষ্ঠু তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে শোরুমে নিয়ে গেলে প্রকৃত তথ্য বের হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শেষে মতিঝিল দিক থেকে একটি কালো রঙের মোটরসাইকেলে করে দুজন ব্যক্তি ঘটনাস্থলে আসে। পেছনে থাকা ব্যক্তি খুব কাছ থেকে হাদির মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে র্যাব-২ জানতে পারে, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা-মেট্রো-ল-৫৪-৬৩৭৫। বিআরটিএ থেকে যাচাই করে মোটরসাইকেলটির মালিক হিসেবে মো. আব্দুল হান্নানকে শনাক্ত করা হয়। শনিবার বিকেলে মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে তাকে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।


