শিরোনাম
চান্দিনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত”র অভিযানে নয় জুয়াড়ি গ্রেপ্তার  ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দুই অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস, ৮ লাখ টাকা জরিমানা বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে স্বাস্থ্যখাতে পূর্ণাঙ্গ ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে: ডা. রফিকুল ইসলাম নির্বাচনের মাঠে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চায় পুলিশ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপোড়েন: পরিস্থিতি স্বাভাবিক চায় দুই দেশই ১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ভারতের সঙ্গে তিক্ততা চায় না সরকার: অর্থ উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের ভোট নেওয়ার প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি ও জামায়াত: নাহিদ দল ব্যবস্থা নিলেও আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করব: রুমিন ফারহানা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তিতুমীর কলেজ শাখার সহ-সভাপতি নকিব তালুকদার গ্রেপ্তার

ব্রাকসু নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা, শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি

Chif Editor

অনলাইন ডেস্ক :- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। বারবার তফসিল পরিবর্তন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের একের পর এক পদত্যাগের ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলীর দ্বারস্থ হয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং দ্রুত নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম সচল করার দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এস এম আশিকুর রহমান জানান, চতুর্থ তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই লক্ষ্যেই কাল (বুধবার) খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন—আমাদের স্পষ্ট দাবি, ২১ জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। অন্যথায় ক্যাম্পাস খোলার পর ১০ জানুয়ারি থেকে আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামব।

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়া পুনরায় সচল করতে তিনি আজই নির্বাচন কমিশনারদের চিঠি দেবেন। দ্রুত কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও প্রদান করবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

ব্রাকসু নির্বাচন ঘিরে গত দুই মাসে একের পর এক নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। নিচের সারণিতে এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হলো— গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে শিক্ষার্থী সংসদ অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক ড. ফেরদৌস রহমানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট ব্রাকসুর প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।

তবে কমিশন গঠনের একদিন পরই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ নতুন করে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে।

পরবর্তীতে ১১ নভেম্বর উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১১৭তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজামানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে কমিশন পুনর্গঠন করা হয়। কমিশন পুনর্গঠন হলেও দীর্ঘ সময় ধরে তাদের কার্যক্রমে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।

‎শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১৮ নভেম্বর প্রথম দফায় ২৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের ঘোষণা দিয়ে ব্রাকসুর প্রথম তফসিল প্রকাশ করা হয়। তবে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ভোটগ্রহণের তারিখ এগিয়ে এনে ২৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করে দ্বিতীয় তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ সময় ২৫ নভেম্বর পুনর্গঠিত কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শাহজামান প্রথমবার পদত্যাগপত্র জমা দিলেও প্রশাসনের অনুরোধে দায়িত্বে বহাল থাকেন।

‎এরপর ১ ডিসেম্বর ভোটার তালিকায় অসংগতি দেখিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব কার্যক্রম স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে ৩ ডিসেম্বর রাতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নতুন রোডম্যাপ অনুযায়ী সংশোধিত তৃতীয় তফসিল ঘোষণা করা হয়।

তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম উত্তোলন, ডোপ টেস্টসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করলেও মনোনয়ন জমাদানের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই নির্বাচন কমিশন কার্যালয় বন্ধ পাওয়া যায়। এতে চরম ভোগান্তি ও হতাশায় পড়েন প্রার্থীরা।

পরদিন ১০ ডিসেম্বর রাতে আবারও তফসিল পরিবর্তন করে ভোটগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী বছরের ২১ জানুয়ারি নির্ধারণ করে চতুর্থ তফসিল ঘোষণা করা হয়।

এর পরদিন ১১ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শাহজামান দ্বিতীয়বারের মতো পদত্যাগপত্র জমা দেন।

‎সর্বশেষ তফসিল অনুযায়ী ১৩ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্যতীত বাকি পাঁচ কমিশনারের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা ও যোগাযোগের অভাবে আইনগত কারণে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply