জুয়েল খন্দকার, নিজস্ব প্রতিবেদক:- কুমিল্লা সদর ধর্মপুরে অবস্থিত (১ম শ্রেনী) এলএসডি, সংরক্ষণ খদ্য গুদাম ভাসছে পানিতে, বৃষ্টি আসলেই পুকুরে পরিনত হয়ে যায় ও গুদাম এর ভিতরে পানি ঢুকে যায়। যার জন্যে ৪ নাম্বার গুদামটিতে এখন ব্যবহার করার মতোন উপযোগী নয়। ঘটনার স্থল পরিদর্শন করে আমাদের রিপোর্টার জানায় যে খাদ্য গুদাম পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রেল লাইন দফায় দফার সংস্কার কাজ করার কারনে খাদ্য গুদাম এর চেয় প্রায় ৫/৬ ফুট উচু হয়ে যায় আর নিচু হয়ে যায় খাদ্য গুদামটি যার ফলে বৃষ্টি হলেই বড় সমস্যা তৈরি হচ্ছে জলবদ্ধতার কারনে। এছাড়াও দফায় দফায় আশপাশের রাস্তার সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে রাস্তা গুলি উচু হয়ে যায় প্রায় ৪ ফুট। যদিও রাস্তা গুলি সংস্কার করার কথা থাকলেও উচু করার কতোটা যুক্তি যুক্ত! তবে ঠিকাদারের সহজে রাস্তার কাজ কম পয়সায় করার জন্যে আগের রাস্তার পিজ ঢালাই কে ভেকু দিয়ে কুপিয়ে আলাদা করে পরে এর উপর দিয়ে ঢালাই দিয়ে দেয়, যদিও পিস ঢালাই গুলি উঠিয়ে নতুন করে বালি ও পাথর মিক্স করে ফেলে পরে এর উপরে পিস ঢালাই করার কথা থাকলেও তারা তা করছেন না! কুমিল্লা শহরে এমন প্রতিটি রাস্তা সংস্কার এর কাজ করার কারনে ড্রেইন গুলিও উচু হচ্ছে আর আশপাশের নতুন করে নির্মাণাধীন বাড়ি ঘর গুলিও উচু হচ্ছে যার ফলে পুরাত ভবন গুলি জলদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে ঠিক এই খাদ্য গুদামটিও একি পরিনতির শিকার হয়েছে।
এই জলবদ্ধতা থেকে খাদ্য গুদামকে বাঁচাতে হলে কম করে হলেও ৩ থেকে ৪ ফুট মাটি ফেলে উচু করতে হবে সাথে ড্রেইন লাইনও করতে হবে। ৩/৪ ফুট রাস্তা উঁচু করলে আবার খদ্য গুদাম গুলিও উচু করা লাগতে পারে। এই বিষয়ে গত অর্থ বছরে সংস্কার করার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত সংস্কার এর কাজ শুরু হয়নি তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে আগামী অর্থবছরের বাজেটে পর্যাপ্ত পরিমানে বাজেট করে সংস্কার এর কাজ শুরু হবে তবে এই ব্যাপারে গেল বছরে বাজেট পাশ করা হলেও সংস্কার এর কাজের বাজেট কম হওয়ার কারনে কাজটি করা সম্ভব হয়নি বলে জানা যায়।
এর আগে যে পানিতে খাদ্য গুদাম গুলি তলাবেনা এর কোন প্রকারের কোন গেরান্টি দিতে পারছেন না কোন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা!
দুঃখজনক হলেও সত্য যে কুমিল্লা নগরীতে যেই পরিমান খাদ্য চাহিদা সেই পরিমানে খাদ্য গুদাম এর আয়তন অনেক কম! তবে ৪০০ ( চার শত ) মেট্রিক টন এর একটি খাদ্য গুদাম পরিত্যক্ত হয়ে আছে যেটিতে কোন খাদ্য রাখার উপযোগী নয়, বৃষ্টি আসলেই এই গুদামে পানি ঢুকে যায়। এটিও যদি সংস্কার করা হয় এতে করে খাদ্য চাহিদা অনেকটাই পূর্ণ করা সম্ভব।
দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে কুমিল্লা নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতি নদীর মাটি জেলখানা, উপজেলা, আদালত”সহ বিভিন্ন দপ্তরের নামে কেটে কেটে বিক্রি করছে যদিও ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে, আবার রোডস এন্ড হাইওয়ে টেণ্ডারের মাটি বিভিন্ন জায়গাতেও বিক্রি হয় কিন্তু সরকারি দপ্তর গুলি জলবদ্ধতায় ভোগছেন! গেল রমজানের ২২ রোজায় দেখা যায় যে বানাশুয়া রেল লাইনের পাশ দিয়ে তৈরি করছেন রাস্তা সেই আস্তার মাটি কুমিল্লা সিটির বেসিকে একটি বেকারির পুকুর ভরাট করেন প্রায় ১০০ ট্রাক মাটি ফেলে কিন্তু সরকারি দপ্তর গুলি জলবদ্ধতায় ভোগছে। কুমিল্লা ছত্রখিল ফাড়ি থানার সামনেই দিন রাত নদীর চর খনক করছেন উপজেলায় মাটি ফেলার টেণ্ডারের নাম করে কিন্তু সারা দিনে উপজেলায় ৩ থেকে ৬ ট্রাকের বেশি মাটি যায় না কিন্তু প্রতিদিন ঐ স্থানে ১২ থেকে ১৫ টি ট্রাক দিয়ে মাটি টানা হয় সে গুলি চলে যায় শহর সহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ৫০০ ট্রাকের বেশি মাটি বিক্রি হয় আর উপজেলায় যায় না ৫ ট্রাক তাওতো সরকারি জায়গায় একটু হলেও কাজে লাগছে সরকারের যদিও টেণ্ডারে নদী খনন এর কথা কিন্তু খনন হচ্ছে চর এমন প্রায় ১৫০ ঠিকাদার আছে যারা সরকারি দপ্তর এর পরিচয় দিয়ে থাকেন।