শিরোনাম
আগামী নির্বাচনে জনসমর্থন নিয়ে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে বিএনপি: মেয়র শাহাদাত আগামী নির্বাচনে জনসমর্থন নিয়ে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে বিএনপি: মেয়র শাহাদাত “খুনের দায়ে কুমিল্লায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড” চবি’র আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাহান শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চবি, ১৪৪ ধারা জারি নূরের উপর হামলা, চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ ভুরুঙ্গামারীতে সরকারি চাকুরির বিধি লঙ্ঘন করে প্রাথমিকের শিক্ষকের দাপুটে সাংবাদিকতা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারও জমি ভরাটের কাজ করছেন চাঁনপুরে আওয়ামী দোসরেরা ফটিকছড়িতে মুরগির খামারে খাবার খেতে এসে ধরা পড়েছে একটি বিরল প্রজাতির মেছোবাঘ ক্ষমতায় গেলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও দূর্নীতি প্রতিরোধ করবে জামায়াত: অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান

দোহারে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে স্বর্ণালংকার হারালো ৭ নারী

Nasir Uddin Pollob

নাছির উদ্দিন পল্লব :

ঢাকার দোহার উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে স্বর্ণালংকার হারালো ৭ নারী। রোববার হাসপাতালের বহির্বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। দোহার থানা পুলিশ চোর শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছে।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসা সেবা নিতে এসে তারা তাদের স্বর্ণালংকার হারিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে উপজেলার লটাখোলা গ্রামের রিনা আক্তারের আট আনা ওজনের চেইন, করম আলী মোড়ের হালিমনের সাড়ে আট আনা ওজনের চেইন, নারিশা পশ্চিমচর গ্রামের সামিরা বেগমের ১০ আনা ওজনের দুল ও চেইন, বিলাশপুর ইউনিয়নের কুতুবপুরের কমলা বেগমের সাড়ে আট আনা ওজনের চেইন ও পুষ্পখালীর শারমিন আক্তারের আট আনা ওজনের গলার চেইন খোয়া গেছে। অন্য এক নারী আগেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র থেকে বাড়ি চলে যাওয়ায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী নারিশা পশ্চিমচর গ্রামের সামিরা বেগম জানান, তিনি তার দেড় বছর বয়সী ছেলে সায়মনকে কোলে নিয়ে চিকিৎসকের অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভিড়ের চাপে তার গলা থেকে চেইন ও কানের দুল নিয়ে যায় কে বা কারা। ছেলেকে বুকের দুধ খাওয়াতে গেলে তখন তিনি বিষয়টি টের পান।

এছাড়াও কয়েকদিন আগে দেশ পত্র পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত  সম্পাদক এর পুত্রবধুর গলার চৌদ্দ আনি স্বর্নের চেইন একই কায়দায় একই স্থান হতে নিয়ে যায়। এবং সম্পাদক নিজ উদ্যোগে সিসি ফুটেজ চেক করতে গেলে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ক্যামেরা বন্ধ থাকায় চোর সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন জানান, রোগীদের কাছ থেকে ইতোপূর্বেও তিনি এমন অভিযোগ পেয়েছেন। এরপর থেকেই গোটা হাসপাতাল এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। দোহার থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে আগেও তিনি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ নেওয়া হয়েছে এবং হাসপাতালে স্থাপন করা সকল সিসি ক্যামেরার ছবি ও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুত অপরাধীদের আটক করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

Leave a Reply