শ্রীনগর প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের কাঁঠাল বাড়ী গ্রামে চায়না দোয়াইর চুরির অভিযোগে আলম ও তাহার স্রীকে ২৯ ই অক্টোবর সকালে মারধর করা হয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এই ঘটনায় আহত মাজেদা বেগম বলেন, সকালে আমির হোসেন এবং লিয়াকত মাদবর আমাকে বাড়ী থেকে ডেকে পার্শ্ববর্তী শওকত মাদবরের দোকানে নিয়ে যায়। জানতে চায় আমার স্বামী আলম কোথায়, একটু পরে আমার স্বামী আলম সেখানে উপস্থিত হলে ফরিদ, রফিকুল, হারুন কাদির সহ কয়েকজন মিলে আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে থাকে আমাকেও বেদম মারধর করেন।
আমাদের আত্মচিৎকার আশ পাশের মানুষ ছুটে এসে আমাদের উদ্ধার করে। শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। মাজেদার স্বামী আলম বলেন, আমি রাতে আমার ভাইয়ের ডাঙ্গার মাছ পাহাড়া দিতে গেলে সেখানে রফিকুল ফরিদ সহ আরো দুই তিনজন জাল দিয়ে মাছ ধরতে চাইলে আমি বাধা দেই। এই নিয়ে ওদের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। সেই জের ধরে আমাকে আর আমার স্ত্রীকে মারধর করা হয়।
পাশের বাড়ীর এক গৃহ বধু মারপিটের ভিডিও ধারন করলে, রফিকুল ভয় ভীতি দেখিয়ে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এই বিষয়ে আলমের ভাই সালাম বলেন, এরা সবাই মামুন মাদরের লোক তাহার নির্দেশেই মারধর করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন এই বিষয়ে তিনি শ্রীনগর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
এই বিষয়ে মামুন মাদবরের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন সালাম আমার ভাইয়ের হত্যা মামলার আসামী ছিলো, এই আক্রোশে আমার নামটি জড়িয়েছেন আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা ঘটনাস্থলে উপস্থিতও ছিলাম না
এই বিষয়ে লিয়াকত মাদবরের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলম আরিয়াল বিল হতে রফিকুল আর ফরিদের দোয়াইর চুরি করেছিলো আমি মিমাংসা করতে চেয়েছিলাম আমার কথা না শোনে আলম, রফিকুল, ফরিদ হাতাহাতি করে।
এই বিষয়ে আমিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরিয়াল বিল থেকে ফরিদ আর রফিকুলের চায়না দোয়াইর আমল নিয়ে যায় ফরিদ আলমকে জিজ্ঞাসা করিলে আলম ফরিদকে বৈঠা দিয়ে বারি দেয়। এই বিষয় মিমাংসা করার জন্য আমরা বসে ছিলাম তখন আলম ফরিদ রফিকুলের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়।
দোকানদার শওকত মাদবরের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার দোকানের এখানেই আমার ছোটভাই লিয়াকত মাদবর, আমীরসহ কয়েকজন আসেন, আলমের স্ত্রীকে ডাকেন পিছে পিছে আলম আসে তারপর রফিকুল ফরিদ ওদের সাথে আলমের হাতাহাতি হয় আমি দোকানে ছিলাম এর বেশী কিছু জানি না।
ফরিদ বলেন, আলম আমার আর রফিকুলের দোয়াইর নিয়ে যায় আমরা বিচার চাইলে, আলম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন পরে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে ধাক্কা লেগে আলমের স্ত্রী মাটিতে পরে যায়। স্থানীয় অনেকেই বলেন, আলম মাঝে মাঝেই আরিয়াল বিল থেকে মানুষের দোয়াইর, জাল দিয়ে আসেন একাধিক বার বিচার শালীশও হয়েছে।
গৃহবধু সুরাইয়া বলেন, আমি সৌদি প্রবাসী স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা বলতে ছিলাম শোরগোল শোনে এগিয়ে গেলে রফিকুল আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। ভিডিও করিতেছি বলে মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।