শুভ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পুলিশের বহিস্কৃত টেকনাফের সাবেক বিতর্কিত ওসি প্রদীপের দালাল প্রতিটি বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এবং সরকারি দলের নাম ব্যবহার করে ঘাপটি মেরে থাকা রাষ্ট্রদ্রোহী তালিকাভুক্ত কিছু মাদক সম্রাট এবং দূবৃত্ত লীগ ও কিছু রাজাকার,দিয়ে মানবাধিকার নেতা দাবী করে?।
international human aid নামক একটি কথিত এনজিও সংস্থার আড়ালে সেহেলী পারভীন নামক এক মহিলার বিরুদ্ধে টেকনাফ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা অপরাধে গোপন ঈন্দন,ভয়ংকর মাদক ইয়াবা ব্যবসা পৃষ্ঠপোষকতা তথা সরকার বিরোধী নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের গুরুতর অভিযোগ আসছে।
জানাগেছে, মানবাধিকার সংগঠনে নাম পরিচয়ে কক্সবাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করে নেওয়া এই সংগঠনের কর্নধার সেহেলী পারভীনের সাথে সরকার বিরোধী বিএনপি জামায়াত সম্পৃক্ততা সহ অগনিত অভিযোগ থাকা স্বত্তেও গোপন মধুলুটে তুষ্ট একটা প্রভাবশালী এবং মাদকের জাদুতে বিত্তহীন থেকে কোটিপটি বনে যাওয়া দুষ্ট সিন্ডিকেট রয়েছে।
তারা সার্বিক সহায়তা করে উক্ত এনজিওর মাধ্যমে হরেক অপকর্ম চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। শুধু তাই নয়,মানবাধিকার নেত্রী পরিচয়ে এক সময়ের বিত্তহীন থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া এই নেত্রীর বিরুদ্ধে সীমান্তের ইয়াবা গডফাদার সাবেক এমপি আবদুরহমান বদির ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসাও পতিতা সরবরাহের অভিযোগ উঠছে।তার সংগঠনে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকজন ভিআইপি পতিতা ও ইয়াবা সুন্দরীদের নষ্টামীর কিছু প্রমান পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মানবাধিকার নেত্রী সেহেলী পারভীনের বক্তব্য নিতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এক পর্যায়ের হোয়াটস – অ্যাপে বার্তা দেওয়া হলেও তিনি এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে তা পড়েননি। অর্থাৎ সীন হয়নি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা।
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল বশর চৌধুরী এক ফেইসবুক কমেন্টসে বলেন,যাদের সহযোগিতায় পিতা- মাতা সন্তান,স্ত্রী স্বামী ও ছেলে মেয়ে বাবা হারা হলো এবং মানুষ কে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে,প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে শূন্য থেকে কোটিপ্রতি বনেছেন,যাদের শরীরে মাদকের কালিমা লেগেই রয়েছেন তারাই আজ মানবাধিকার কমিশন নেতা। মানবাধিকার কমিশনের আড়ালে অন্য কিছু লুকিয়ে রয়েছে কিনা তদন্ত করা হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে পারে।
কক্সবাজারের কয়েকজন সিনিয়র জানিয়েছেন, সেহেলি পারভিনরা মানবাধিকার এর নামে সমাজে যে বেহায়াপনা করে তা জাতির সামনে তুলে ধরা দরকার। তাদের আয়ের উৎস কি? নিজেদের বাড়ি এমনকি গ্রাম থেকে বিতাড়িত এ নারীদের জীবন চলে কিভাবে? তা ভেবে দেখা দরকার।
উল্লেখ অভিযুক্ত সেহেলী পারভীনের বিরুদ্ধে রাজধানী কেন্দ্রীক আরও কিছু অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যা তদন্ত করে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
এই অবস্থায় সেহেলী বেগম এবং তার কথিত মানবাধিকার সংগঠন সকল প্রকার কর্মকাণ্ড, কমিটিতে কারা কোন পদে আছেন? তাদের আয়ের উৎস সহ কৃত সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে সকল গোয়েন্দা সংস্থা, কক্সবাজারের ডিসি, এনজিও ব্যুরো সহ সরকারের উপর মহলের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন টেকনাফ কক্সবাজারের সচেতন মহল।
চলবে