শরিফুল ইসলামঃ ফেসবুকে পরিচয় তারপর প্রেমের সম্পর্ক। এভাবেই চলে টানা দুটি বছর। এদিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মনির প্রেমিকা সুমনার কাছ থেকে ধাপে ধাপে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের বেশ কিছু টাকা। পরে বুক ভরা আশা নিয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে সুমনা মনিরের বাড়িতে উঠে পড়লে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় প্রেমিক মনির। তারপর একে একে এভাবেই কেটে যায় দশটি দিন। তবুও বিয়ের পিঁড়িতে এখনও বসার সুযোগ হয়নি।
অবস্থানরত সেই কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকা সুমনার। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে পাবনা বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানাধীন ইসলামপুর গ্রামে। অত্র গ্রামের বাসিন্দা হাসেম শেখের ছেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মনিরের সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় পার্শ্ববর্তী বসন্তপুর গ্রামের পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ পড়ুয়া সুমনার।
তারপর মিষ্টি কোথায় চিরে ভিজিয়ে পরিচয় পরিণত হয় প্রেমের সম্পর্কে। মাঝখানে কেটে যায় দুটি বছর। এর মাঝে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবাদ মেলামেশা এবং সেই সাথে ধাপে ধাপে সুমনার কাছ থেকে লুটে নিয়েছে মোট অংকের টাকা। প্রেমের সম্পর্ক হালকা হয়ে যাচ্ছে এমনই আচ বুঝতে পেরে গত ২৪শে অক্টোবর মঙ্গলবার বিয়ের দাবি নিয়ে মনিরের বাড়িতে অবস্থান করে সুমনা।
এদিকে নিজ বাড়িতে সুমনার উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় প্রতারক প্রেমিক মনির। বর্তমানে সুমনা ওই বাড়িতে অবস্থান করলেও খোঁজ মিলছে না পালিয়ে যাওয়া মনিরের। বিয়ের দাবিতে অবস্থানরত সুমনা গণমাধ্যমকে বলে বিয়ে ছাড়া আমি কিছুতেই এবাড়ী থেকে যাবো না। আর যদি যেতেই হয় তাহলে আমার লাশ যাবে। ঘটনাটি বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে আশপাশের এলাকায়।
এদিকে সুমনার পরিবারের দাবি আমরা বিয়ের বিষয়ে ছেলে পক্ষের সাথে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে কথা বলতে গেলে তারা নগদ ৮ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে।
কিন্তু আমরা দরিদ্র হওয়ায় এতো টাকা জোগাড় করা খুবই অসম্ভব হয়ে পড়ে। তারপরেও আমরা মেয়ের সুখের দিকে তাকিয়ে ধার দেনা করে ৪ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়েছি।
কিন্তু তারা এতে রাজি না। এমতাবস্থায় আমাদের মেয়ের কিছু হলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার ছেলে ও ছেলের পরিবারের বহন করতে হবে। এই ঘটনা সম্পর্কে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং থানা পুলিশ অবগত আছে বলে জানিয়েছেন অবস্থানরত কলেজ পড়ুয়া সুমনা।