নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবাধিকারের নাম দিয়ে কক্সবাজারে অমানবিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত বিতর্কিত এনজিও হিউম্যন এইডের ইয়াবা সুন্দরী সেহেলী পারভিন টেকনাফের মাদক ও পতিতা সম্রাট নুর হোসেনদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকারের উপর মহলের নির্দেশে পৃথক পৃথক ভাবে কাজ শুরু করেছে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সংস্থা।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের পরিচয় দিয়ে এক সময় বাড়ি থেকে বিতাড়িত উক্ত সেহেলী জীবনে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে যেখানে যেরূপ ধারণ কারা দরকার সেখানে তিনি তাই করেছেন। কখনো মানবাধিকার কর্মী কখনো কোন রাজনৈতিক নেতার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী আবার কখনো দৈনিক পত্রিকা বা টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক কিংবা মালিক সহ যেখানে যা পরিচয় দেওয়ার তাই দিয়ে ক্ষান্ত হননা তিনি। অনেকের সোনার সংসারে আগুনও জালিয়েছেন।
নিজের প্রিয়তমা স্ত্রী সন্তানদের কাছ থেকে স্বামী ভাগিয়ে নিতে তিনি শুধু নিজের নষ্টামির পরিচয় দেননি।অনেককে সুন্দরী কঁচি কাঁচা নারীও সরবারাহ করছেন বিত্তশালী, প্রভাবশালী এবং সুন্দরী নারী যত নোংরাই হোক তার কাছে এদের মূল্য অসীম। সুত্র জানায়,অসম্ভব ঠান্ডা মাথার মিষ্ঠভাসী ধোর্ত এবল ব্যাক্তিত্বহীন এই নারীর জীবন যাপন ও চাল চলন রাজকন্যার মত।
শুধু টেকনাফ কক্সবাজারে নয় বাংলাদেশের বড় বড় লম্পট এবং মাফিয়া ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যাবসায়ী ইয়াবা ভিআইপি সিআইপিদের সাথে রয়েছে তার দহরম মহরম সম্পর্ক। মাঝে মাঝে তিনি নিজেকে মহীয়সী নারী বলেও দাবী করেন।
তার জন্য কক্সবাজার এবং রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন সংগ্রাম বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ প্রয়োজনে মামলা হামলা এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত এলাকা ভিত্তিক চিহ্নিত কিছু লম্পট ও পতিতা।
কক্সবাজারের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোঃ শাহীন ইমরান বলেছেন,কেউ আইনের উর্ধে নয়। তথ্য দিন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, অপরাধীরা যতবড়ই শক্তিশালী হোক ছাড় নেই।
কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক বলেছেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, এসজিপি, পিপিএম, পিএসসি জানিয়েছেন, চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে কারো রক্ষা পাওয়ার সুযোগ নেই।দু’দিন আগে আর পরে কৃত অপকর্মের ফল সবাইকে ভোগ করতে হবে।
টেকনাফ থানার ওসি জোবায়ের বলেছেন, দালাল নুর হোসেনদের স্থান আমার থানায় নেই। এখানে তার প্রবেশ নিষেধ। ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে এক মহিলার কাছ থেকে যে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আসছে। ওই ওসি আমি নই।
তার বিরুদ্ধে কেউ আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলে এজাহার দিলে গ্রহণ করে অবশ্যই গ্রেফতার পুর্বক বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এছাড়া সেহেলী সিন্ডিকেটের হরেক অনৈতিক এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডের আরও অনেক অভিযোগ আসছে। বের হচ্ছে থলের বিড়াল।যা তদন্ত সাপেক্ষে প্রকাশ করা হবে অচিরেই।