ফারজানা আক্তারঃ শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী আওতায়। রুদ্রপাড়ার রাস্তার বেহাল দশা জনগন ও জানচলাচলের চরম ভোগান্তি রাস্তা এখন যেন মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
শ্রীনগর উপজেলাধীন বাঘড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড রুদ্রপাড়া পাকা রাস্তার মাথা হতে মানিক বাড়ী ( মনীব বাড়ী) পর্যন্ত মাটির রাস্তায় ইট সলিং করা হয় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে। নির্মীত রাস্তাটির বেহাল দশা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা মোশারফ শেখের বাড়ীর পূর্ব পাশে থেকে শুরু করে মুনীব বাড়ী পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে রাস্তার ইট সরে গেছে। রাস্তার কিছু অংশ ডেবে গেছে ইট গুলো সরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে এছাড়া রাস্তাটি প্রায় ১কিলোমিটার পর্যন্ত যাতায়াতের রাস্তায় ভাঙা চোরা সৃষ্টি হওয়ায় এলাকাবাসী সহ পথ চারীদের যাওয়ার পথে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ে হয়।
মৌসুমী বৃষ্টির কারনে রাস্তার ইটের নিচের বালু সরে যাওয়ায় এবং সাইড গাঁথুনি মজবুত না হওয়ায় রাস্তার বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে। রাস্তায় গর্ত সৃষ্টি হলে হেঁটে চলা ও দুষ্কর হয়ে পরে।স্থানীয় লোকজন আরো বলেন, রাস্তাটি বালু ও মাটি সরে যাওয়ার কারণে নিয়মিত স্কুলে ও শিক্ষার্থী সহ সাধারন জনগণের যাতায়াত কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে।
এ রাস্তায় দিয়ে আসা-যাওয়া বিপদ হয়ে যায়। রাস্তাটি পাকা হবে তো দূরে থাক ঠিকমত রোডে মাটি ও ইট খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। পুরো রাস্তা ভেঙ্গে চুরে একাকার, কোথাও রাস্তা দেবে গিয়ে মাটির নিচে, জায়গায় জায়গায় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে থাকায় লোকজন চলাচল করতে পারছে না।
বাড়ি-ঘর নির্মাণ থেকে শুরু করে পন্য সামগ্রী বা কৃষি পণ্য সরবরাহ ও রোগী নিতে বেগ পেতে হচ্ছে স্হানীয় লোকজনকে। বছরের পর বছর চলছে এ দূরাবস্থা। সড়কটি মৃত্যুর ফাদ হয়ে দেখা দিচ্ছে। স্থানীয় নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন এই রাস্তা দিয়ে কোনো ভারী যানবাহন চলাচল করে না ইজি বাইক,রিক্সা, মটর সাইকেল চলাচল করেন।
একাধিক মানুষের কথার মতে ৫/৬ মাস আগে কাজটি শেষ করা হয়। আমরা রাস্তা নিয়ে ভোগান্তিতে আছি। অসুস্থ্য লোক কে গাড়ি যোগে নিতেও সমস্যায় পরতে হয়। বাধ্য হয়ে এসব রাস্তায় পরিবহন যোগে যাতায়াত করতে গিয়ে দূর্ঘটনায় পরতে হচ্ছে। রাস্তাটি শিশু, নারী, বৃদ্ধদের চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী।এতদ্রুত রাস্তাটি এভাবে ভেঙ্গে যাবে আমরা কখনো ভাবতে পারি নাই।
এবিষয়ে ইউপির সদস্য আক্কাছ বেপারী কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই সম্পক্য আমি কিছুই জানি রাস্তাটি করার সময় আমাকে কেউ বলে নাই তিনি আরো জানান আমার জানা মতে রাস্তার দুই পাশে মাটি না থাকার কারনে রাস্তাটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।