শিরোনাম
টাকার বিনিময়ে করেন নোটিশ গায়েব রাজউককে বাণিজ্যের হাতিয়ার বানিয়েছেন অথরাইজড অফিসার ইলিয়াস নিমসার বাজারে দোকান ভাড়া নিয়ে মালিকের উপর হামলা করে পাল্টা অভিযোগ থানায় রিফাইন্ড আ’লীগ বা ‘জাপা’ নামে ফ্যাসিবাদি শক্তিকে পুনর্বাসনের সুযোগ দেয়া যাবে না সিরাজগঞ্জে তারেক রহমানের ১৮তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা বিসিএসআইআর কল্যাণ পরিষদ নির্বাচনে তাসলিমা-হাসিবুল প্যানেলের জয় তেজগাঁও কলেজে জমকালো আয়োজনে অনার্স ১ম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন কুমিল্লায় র‍্যাব”র অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার  কুমিল্লায় বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন বুড়িচং প্রশাসন কর্তৃক অবৈধ ড্রেজার মেশিন বিকল ও জরিমানা আদায় আগামী নির্বাচনে জনসমর্থন নিয়ে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে বিএনপি: মেয়র শাহাদাত

সরকারি বরাদ্দকৃত টিওবয়েল যুবরাজ মেম্বারের জায়গায় তার স্ত্রীর নামে

S M Rashed Hassan

কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলায় ১নং বিজয়পুরের ৩ নং ওয়ার্ডের জনগনের পানি পান করার জন্য অগভীর নলকূপ স্থাপনাটি ব্যাক্তি মালিকানাধীন জায়গায়, পানি পান করার জন্য বঞ্চিত গরিব দুঃস্থ মানুষ।

১নং বিজয়পুর এর ০৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য যুবরাজ ভৌমিকের এমন কর্মকান্ডে হতবাক সাধারন জনগন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই অগভীর নলকূপটি গরিব দুঃস্থদের বরাদ্দকৃত হলেও তিনি নিজের জমিতে বসিয়েছেন, স্থানীয় লোকজন বলেন ক্ষমতার দাপটে তিনি এই কাজটি করেছেন, চারদিকে যুবরাজ ভৌমিকের জমি কয়েকদিনপর তিনি ওইখানে ভবন তৈরি করলে এই নলকূপটি তার নিজের হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ১ নং বিজয়পুরের চেয়ারম্যান তানভীর হোসেনকে অবহিত করলে তিনি বলেন, এটি তার অর্থবছরের বরাদ্দকৃত নয়। তিনি দাবি করেন এটি আগের চেয়ারম্যান এর বরাদ্দকৃত।
এমতাবস্থায় অনুসন্ধানী টিম সদর দক্ষিন উপজেলার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে, নথিপত্র বের করে দেখা যায় যে, ২৩-২৪ অর্থবছরে ২৬ টি নলকূপের বরাদ্দ এসেছে, যার মধ্যে ৫০% স্থানীয় সাংসদের সুপারিশ ক্রমে আর ৫০% ইউপি সদস্য এবং চেয়ারম্যানদের সুপারিশক্রমে। নথিপত্র বের করে করে দেখা যায় যে এই ফাইলে ১নং বিজয়পুরের চেয়ারম্যান তানভীর হোসেন পারভেজ এর সাইন রয়েছে যা তিনি অনুসন্ধান টিমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান কে আবারো অবহিত করলে, যখন বলা হয় এই ফাইলে আপনার সাইন রয়েছে, তখন তিনি বলেন, যুবরাজ ভৌমিক আমার কাছে বলেছেন যে কয়েকটি হিন্দু পরিবার পানি পান করবে তাই আমি ফাইলে সাইন করেছি, কিন্তু তিনি আমার সাথে প্রতারণা করেছেন আমি এর ব্যবস্থা নিচ্ছি।
অনুসন্ধানে আরো উঠে এসেছে যে, যুবরাজ ভৌমিক তার স্ত্রীর নামে এই বরাদ্দকৃত নলকূপটির ফাই পাশ করিয়েছেন।

এ বিষয়ে সদর দক্ষিন উপজেলার জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা বলেন ভাই আমরা ক্ষমতার দাপটে অনেক কিছুই করতে পারি না, কিন্তু যেখানে নলকূপটি বসানো হয়েছে গরিব বা দুঃস্থ মানুষ পানি পান করতে পারেন না। এটা নেহাৎ অন্যায় হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে ইউপি সদস্য যুবরাজ ভৌমিককে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলে এটি আমার স্ত্রী এর নামে ফাইল পাশ করে নিয়ে এসেছি, গরিব মানুষ প্রতিনিয়ত পানি পান করছে। ভবিষ্যৎএ মার্কেট বা ভবন স্থাপনা করলে এটা আপনার হবে কিনা? তখন তিনি বলেন এটা পরে দেখা যাবে৷

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার রুবাই খানমকে অবহিত করলে তিনি বলেন, আমি নলকূপ বরাদ্দের পর সদর দক্ষিন উপজেলায় চার্জ নেই। এমন ঘটনার প্রক্ষিতে তিনি বলেন এখন থেকে আমার নির্দেশনা ছাড়া একটা নলকূপের ফাইল যেন সাইন না হয় তা তিনি নির্দেশ প্রদান করেন এবং এ বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সংবাদ চলবে..

Leave a Reply