সাঈদুর রহমান রিমন:
জরুরি আইনি সহায়তা প্রদান করা হোক। তারা দেশী বিদেশী মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে এ জঘণ্যতার বিচার দাবি করুক। তাছাড়া বিতাড়িত সরকারের অমানবিক অত্যাচার ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লংঘনের সবচেয়ে জঘণ্য প্রমাণ ‘আয়না ঘরের সবকিছু’ বিশ্ববাসীর কাছে খোলামেলা প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা উচিত। ভিন্নমতের মানুষজনকে গুম করে রাখার গুপ্ত বন্দীশালার অনেক কিছু এখনও আড়ালে আবডালে রাখা হচ্ছে। বিষয়টি রীতিমত ধামাচাপা দেয়ার অপকৌশল। আয়না ঘরের নিরপেক্ষ ভিডিও, ছবি, কর্মরতদের সাক্ষ্য বক্তব্যের প্রমাণাদি সংরক্ষণের ব্যবস্থা কেন করা হচ্ছে না? ভবিষ্যতে ভুক্তভোগীরা প্রকৃত ঘটনাও আদালতে প্রমাণে যাতে ব্যর্থ হন সেজন্যই কি রাখঢাকের ব্যবস্থা চলছে? আয়না ঘরের আদলে দেশে আরো আরো গুপ্ত বন্দীশালা উদঘাটনে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও সক্রিয় ভূমিকা থাকার কথা,,, কিন্তু এ ব্যাপারে পুরো জাতিকে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, অন্তবর্তী সরকারের আড়ালেও আরেকটি অঘোষিত সরকার নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তড়িৎ গতিতে কিলার আব্বাস, শিবিরের নাসিরসহ বেশ কয়েকজন দাগী অপরাধীর হঠাৎ জামিন পাওয়া এবং বেশ কিছু বিতর্কিত রদবদল, পদায়নের ঘটনায় এ সন্দেহের সূত্রপাত ঘটেছে। বিষয়গুলো জবাবদিহিতার আওতায় আনা জরুরি।
সেনাবাহিনীর মাসব্যাপী কঠোর অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো সক্রিয়তা দেখতে পাচ্ছে না দেশবাসী।
সকল প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর্নীতি ঘুষ বন্ধের জন্য ৯৯৯ এর মতো বিশেষ হটলাইন সার্ভিস চালু করা হোক। যাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষকাণ্ডসহ যে কোনো ভোগান্তির ব্যাপারে মানুষজন তাৎক্ষণিক প্রতিকার পায়।
সম্মানিত উপদেষ্টাগণ বাড়তি কথাবার্তা বলা ত্যাগ করুন, প্রত্যেকে মুখপাত্রের মাধ্যমে প্রতিদিনের ব্রিফিং দিন। সচ্ছতা জবাবদিহিতার নামে বিতর্ক সৃষ্টির জন্য অনেক প্রভাষ আমিন’রা এখনও তৎপর।
(লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক)