মেহরাজ রাব্বি।। বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাফেজ খান তার মেয়ের জামাই রিগান হাওলাদারের মাদক ও জালটাকার ব্যবসার অবৈধ সম্পদের প্রভাবে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে! কোন আইন কানুন তোয়াক্কা না করেই সমাজের নিকৃষ্টতম জঘন্য অপরাধ করে বেড়ায়। রিগানের বাবা হোসেন মাঝি বাহেরচর তাওহীদুল কোরআন কওমী মাদ্রাসার একাধিক শিশুকে নির্যাতন করলেও অবৈধ টাকা দিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে পার পেয়ে যায়। শ্রীপুর ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাফেজ খান ও তার মাদক ব্যবসায়ী মেয়ে জামাই রিগান হাওলাদারের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। পুলিশ ও প্রশাসন এবং সাংবাদিকদেরকেও প্রতিনিয়ত দাবিয়ে বেড়ায়! হাফেজ খান বাহের চর মৌজার ১৩৯২দাগের সরকারি খাসজমি দখল করে বাড়ি ঘর করছেন।শ্রীপুর মৌজার ১৫০১দাগের ১৮৬একর খাসজমি দখল পজিশন প্লট আকারে বিক্রি করে লাখ লাখ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ভোলা-বরিশাল আন্তঃজেলা সীমানা বিরোধীয় মহিষমারীর মৌজার ২১৭একর খাসজমি দখল পজিশন প্লট আকারে বিক্রি করে লাখ লাখ হাতিয়ে নিয়েছে তার নেতৃত্বে কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা।নদী সিকস্তি মাষ্টার গোলাম মোস্তফা খন্দকারের বাড়ি থেকে মোল্লা বাড়ির বাবুল মল্লিকের ঘরের সামনে পর্যন্ত ইটের সলিং রাস্তা ইট তুলে বাহেরচর গ্রামের কাসেম খলিফা দোকান থেকে কাঠের পোল মসজিদের পূর্ব দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলোনির রাস্তা ইটের সলিং করার নামে মেম্বার মোঃ হাফেজ খান নিজের ঘর-বাড়ি, ঘাট,লেট্রিন পাকা করে অবশিষ্ট ইট বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। রিগান হাওলাদার বাজার থেকে চরবগী ঈদগাহ এবর দাখিল মাদ্রাসার রাস্তা হয়ে দক্ষিণে মোল্লা বাড়ির রাস্তা পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সলিং রাস্তার ৩০হাজার ইট তুলে নিয়ে বাড়িঘর পাকা করছে। অবশিষ্ট ইট তার চাচাদের কাছে বিক্রি করে।মাদক ব্যবসায়ী রিগান আইন -আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেদারছে মাদক ও জাল টাকার ব্যবসা করে কোটিপতি বনে যান। নামে -বেনামে ১০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সহ ঢাকা -বরিশাল ৩কোটি টাকার জমি ক্রয় করছে।আপন চাচা কবীর হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ২টি স্টিলের ট্রলার নিজের নামে রেজিষ্ট্রেশন করে নিয়েছে। এমনকি বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের হত্যার হুমকিও প্রদর্শন করে।মাদক ও জাল টাকার ব্যবসায়ী রিগান কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও মেহেন্দিগঞ্জ থানার পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশীদ মোল্লা রিগানের মাদক ও জাল টাকার ব্যবসা বন্ধ করতে বলায় চেয়ারম্যানকেও মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেন। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও পুলিশের কাছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে।
মোঃ দুলাল সরদারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন জানিয়েছেন-আমি ও আমার নদী সিকস্তি হয়ে মহিষমারীর খাসজমিতে বাড়িঘর করে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে হাফেজ খানের মাছের আড়তের দিনমজুর(কামলা) মোঃ হাসান মোল্লা এর মাধ্যমে ৮ গন্ডা অর্থাৎ ৬৪শতাংশ জমি দখল পজিশনে ২লাখ ৪০হাজার টাকায় কিনে বছর তিনেক ধরে ঘরবাড়ি করে বসবাস করছি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডক্টর শাম্মী আক্তারের পক্ষে ছিলাম।একারণেই পংকজ নাথের অনুসারী মোঃ হাফেজ খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলোনির থ্রী ক্লাষ্টার-ব্লক(৩) ঘরে সামনে আটকিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে।মেম্বার হাফেজ খান দুই লাখ টাকা দাবি পূর্বক আমাকে মারধর করে ১লাখ ৬০হাজার টাকা দিয়ে রেহাই পাই।
এছাড়াও মোঃ হাফেজ খানের নেতৃত্বে শ্রীপুর মৌজার ১৫০১দাগের ১৮৬একর সরকারি খাসজমি ২-৩ শতাধিক পরিবারের কাছে দখল পজিশন প্লট আকারে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রমানাদি সহ কথোপকথন রেকর্ড সমূহ রয়েছে।যা সাংবাদিকদের কাছে সংরক্ষিত আছে।এন্হার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন, তার আপন ভাই আঃ রব খান।তিনি বলেন, আমাদের বাড়িঘর কালাবদর নদীতে ভেঙ্গে বিলীন করে নিয়েছে।আমি আমার ভাইয়ের সাথে একসঙ্গে বাড়ি করতে কাসেম ফকিরের দুই ভাইয়ের ৩২শতক(শতাংশ) জমি ২লাখ ৫হাজার টাকায় কেনার উদ্দেশ্যে ৫০হাজার করে ১লাখ টাকা দিয়ে জমি দখল পজিশনে ২০শতাংশ খাল বাবদ ১২শতাংশ ঘারতি থাকায় আমার মায়ের পৈত্রিক সূত্রে ও রেকর্ড বলে পাওয়া জমিতে বাড়িঘর করে থাকি। আমার টাকায় জমি কিনে সরকারি জমি দখল করে প্রায় ৭০শতাংশ জমি ভোগদখল করেছেন।
মেম্বার মোঃ হাফেজ খান বলেন, আমি মহিষমারীতে দুই লাখ টাকা খরচ করছি।সেই টাকার উসুল করলাম। এছাড়াও সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার।
এবিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কার্যত ভূমিকা নেয়নি।