বরিশাল অফিস।। বরিশালের কেন্দ্রীয় আলীগ নেতা,শেখ হাসিনা সরকারের সময়ের পটুয়াখালী প্রভাবশালী বিনা ভোটে এমপি হওয়া সেই এড.আফজালুল করিমের সেকেন্ড ইন কমান্ড ইমরান চৌধুরী এখানো বহালতবিয়ত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা দানকারী বেসরকারী গ্লোবাল ভিলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান পদে থেকে এখনও সরকার বিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন । ইমরান এখানো পলাতক আফজালের সাথে যোগাযোগের অব্যহত রেখেছে।সেই সাথে বিশ্বিবদ্যালয়ের আয়ের টাকা নিয়মিত প্রদান করে চলছে।
তবে নিজেকে সাধু সাজাতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হওয়ার কয়েকদিন পরই বৈষম্য ছাত্র বিরোধি আন্দোলনের শহীদ হওয়া শিক্ষার্থীদের নামে দোয়াও করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাহার এমন আচারনে খোদ গ্লোবাল ভিলেজের শিক্ষার্থীরাও হতাশ।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় আলীগ নেতা আফজালের সাথে ঘনিষ্ঠ সূত্র ধরে ইমরান চৌধুরী সহ কয়েকজন মিলে বরিশালের সিএন্ডবি সড়কে গ্লোবাল ভিলেজ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেন। কিন্তু ইমরান চৌধুরী আলীগ নেতার ছত্র ছাড়ায় একক আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। পাশাপাশি অন্য মালিকদের হেনস্তা করতে থাকেন। এতে করে অন্য মালিকরা সম্মান এর কথা চিন্তা করে ভার্সিটির কার্যক্রম থেকে দূরে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশের সাথে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহমত পোশনের সাথে সাথে আন্দোলনে যোগদান করেন। এতে ঐ সময় ইমরান চৌধুরী আন্দোলনে নামতে শিক্ষার্থীদের বাধা প্রদান করেন। কিন্তু বাধা অপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যায়। এ সময় ইমরান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পাশাপাশি আলীগ ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার পাশাপাশি হুমকি ধামকি প্রদান করেন।
নাম প্রকাশ না শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানান ইমরান চৌধুরী আলীগ সরকার সরকারের সময় একটি বই লেখেন যার নাম বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিকল্পনা ২০৫০। আর ওই বইটি শেখ হাসিনার পুত্র জয় কে উৎসর্গ করেন। ইমরান চৌধুরীর সাথে এখনো কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আফজালের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। তার ইশারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। ইমরান চৌধুরীকে তার পদ থেকে অপসারণ না করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় ও বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হতে পারে। এদিকে গত ৫ আগষ্টের পর ইমরান নিজেকে সাবেক ছাত্র শিবির কর্মী বলে দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। পাশাপাশি নিজেকে জামায়াতের কর্মী বলে বিভিন্ন দপ্তরে পরিচয় দিয়েও আসছে।
এ বেপারে বরিশাল গ্লোবাল ভিলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃকামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষটি এগিয়ে যান।
বরিশাল গ্লোবাল ভিলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিদার চেয়ারম্যান ইমরান চৌধুরীর মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।