মামুনুর রশীদ নোমানী।। ফ্যাসিবাদের দোসর অসিত বরণ দাসগুপ্ত ।ছিলেন সিলেটে জেলা কালচারাল অফিসার হিসেবে ।সিলেট থেকে ধাওয়া খেয়ে এখন বরিশাল জেলা কালচারাল অফিসার।
ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে তার অপকর্মের জন্য সকলে ফুসে উঠেছিল।অভিযোগের অন্ত নেই।সরকার পরিবর্তনের পর সিলেটের পুন্য ভুমি থেকে আন্দোলনের পর বরিশালে বদলী করা হয়। সিলেটে থাকাকালীন সময়ে অসিতের বিরুদ্ধে অনেক গুণি সংস্কৃতিজনদের অপমান,দুর্নীতি,অনিয়ম,নারীর প্রতি অশালীন আচরন,ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল।
আওয়ামী সরকারের সময় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম ও নারীর প্রতি অশোভন আচরনের কারনে তার বিরুদ্ধে সিলেটে একাধিক তদন্ত কমিটি হলেও তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। অসিতের বিরুদ্ধে সিলেট শিল্পকলা মিলনায়তন বরাদ্দসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অযাচিত হস্তক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে সিলেটের নাট্যকর্মীসহ সংস্কৃতিকর্মীদের একটা বড় অংশ গত বছর জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি দিয়েছিলেন।
সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে অসিত বরণ দাসগুপ্তের সিলেটে থাকার মতো অবস্থা ছিল না। সৈয়দ জামিল আহমেদ মহাপরিচালক থাকাকালীন অসিত বরুণ দাসগুপ্তকে বরিশালে বদলী করেন।
তিনি বরিশালে গিয়েও চাকরি বাদ দিয়ে নিজেকে শিল্পকলার মালিক ভাবার প্রবণতার দিকে হাঁটতে শুরু করেছেন। তার কাজের ধরণ, ভঙ্গী- সংস্কৃতিকর্মীদের থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তিনি মালিক মনোভব নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে চান।
লিয়াকত আলী লাকী শিল্পকলার মহাপরিচালক থাকার সময়, এরকম মালিক টাইপ আচরণ কেউ পছন্দ করেনি। তখন লাকীর আস্থাভাজন হিসেবে অসিত বরণ দাসগুপ্ত দেশের শ্রেষ্ঠ কালচারাল অফিসারের পুরস্কারও দেয়া হয়।
যেখানে স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা তাকে সিলেট থেকে তাড়াতে আন্দোলন করেন, তখন অসিত বরুণকে পুরস্কৃত করা হয়। সেই একই বন্দোবস্ত কি বরিশালেও চলবে?
অসিত বরণ দাসগুপ্ত কি নিজেকে শিল্পকলার মালিক ভাববেন? নাকি স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীদের সহযোগী হিসেবে কাজ করবেন? এমন প্রশ্ন সংস্কৃতিকর্মীদের। এছাড়া অসিত একজন চরম সাম্প্রদায়িক ও স্বজন,গোত্রপ্রিয় মানুষ।
ফ্যাসিবাদের দোষর অসিতের ব্যাপারে বরিশালের ছাত্র -জনতা ও জাতীয়তাবাদ আদর্শের লোকজনের পদক্ষেপ দ্রুত দেখতে চায় সংস্কৃতকর্মীরা।