শিরোনাম
এক হাদির রক্তের ওপর লাখো হাদি দাঁড়িয়ে যাবে: হেফাজতে ইসলাম সবাই হাদি হতে পারে না, আমি চেষ্টা করেও পারিনি: মাহমুদুর রহমান রুহুল কবীর রিজভীর দুঃখ প্রকাশ টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ হাদিকে গুলি: ফেনী সীমান্তে বিজিবির তল্লাশি ও টহল জোরদার আমার নিরাপত্তা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা গভীর উদ্বিগ্ন: প্রেস সচিব দানে ইউ এন ( UN) ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা, ৬ জন বাংলাদেশি সেনা নিহত, জানায় আই এস পি আর শহর থেকে গ্রামের বাড়ি গেলেন বেড়াতে, রাতে গলা কেটে হত্যা বাবা মির্জা ফখরুলের জন্য ভোটের মাঠে উঠান বৈঠকে ফখরুল কণ্যা মির্জা সাফারুহ তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নতুন গতি পাবে : আমীর খসরু

চাঁদার টাকায় পড়ালেখা, এখন বিলাসিতায় অভ্যস্ত!— হতবাক এলাকাবাসী

Mehraz Rabbi

নিজস্ব প্রতিবেদক।।এক সময় এলাকার মানুষ চাঁদা তুলে যার পড়াশোনার খরচ জোগাতো, সেই রিয়াদ এখন বিলাসিতায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন, এমন দৃশ্য দেখে হতবাক নবীপুর ইউনিয়নের এলাকাবাসী।

রাজধানীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ মূলত নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ব্যাপারী বাড়ির বাসিন্দা। তার বাবা আবু রায়হান একজন রিকশাচালক। রিয়াদ ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিল। গরিব ঘরের সন্তান হওয়ায় স্থানীয়দের দান ও চাঁদার টাকায় চলত তার পড়ালেখা।

২০২১ সালে কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট মুজিব কলেজে ভর্তি হন রিয়াদ। এলাকাবাসীর সহযোগিতা তখনও অব্যাহত ছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে তার আচরণ, চলাফেরা এবং গ্রামে বাড়ি নির্মাণের ধরন দেখে বিস্মিত হন সকলে।

রিয়াদের চাচা মো. জসিম উদ্দিন জানান, কয়েক মাস আগে হঠাৎ করেই রিয়াদ একটি পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এর আগে পরিবারটি একটি ভাঙাচোরা টিনের ঘরে বসবাস করত।

স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি শিহাব উদ্দিন বলেন, “রিয়াদ আমাদের স্কুলের একজন মেধাবী ছাত্র ছিল। সবাই মিলেই তাকে সহায়তা করতাম। আজ তার নাম চাঁদাবাজির মামলায় শুনে সত্যিই কষ্ট হচ্ছে।”

রিয়াদের বোনের দাবি:
বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সুনসান পরিবেশ। রিয়াদের বাবা-মা হাসপাতালে বলে জানান পরিবারের লোকজন। সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানালেও পরে নির্মাণাধীন ঘরের সামনে এসে কথা বলেন রিয়াদের বড় বোন তাসলিমা আক্তার আরজু।

তিনি বলেন, “আমার ভাই যদি অপরাধ করে থাকে, তার বিচার হবে। তবে ঘর তোলার অর্থ নিয়ে যেভাবে প্রশ্ন উঠছে, তাতে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। বন্যায় ঘর ভেঙে যাওয়ার পর গ্রামবাসী ও আত্মীয়দের সহায়তায় ঘরের কাজ শুরু করি। এখনও দোকানে অনেক বাকি রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার বোনের স্বামী রাজমিস্ত্রি। তিনিই কোনো টাকা না নিয়েই লোকজনসহ কাজ করছেন। আমাদের অন্য ভাইও ঢাকায় চাকরি করেন। আর বাবাও এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। এসব দিয়েই ঘরের কাজ কিছুটা এগিয়েছে।”

এদিকে এলাকার মানুষ বলছেন, একটি সময় সবাই মিলে যার পাশে দাঁড়িয়েছিল, আজ তাকেই চাঁদাবাজির অভিযোগে দেখে কষ্ট হচ্ছে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে,চাঁদার টাকায় শিক্ষিত হওয়া কি শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজ হওয়ার পথেই নিয়ে যায়?

Leave a Reply