বিশাল রহমান, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২১ নং ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অখিল চন্দ্র রায়কে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য টাকার খেলা শুরু হওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ঢোলারহাট ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর জায়গায় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান -১ নির্মলা টপ্য মিনাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয় চলতি মাসের ১ তারিখে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বাক্ষরিত উক্ত চিঠিতে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা অর্পিত হয়। কিন্তু গত ক’দিন আগে ফ্যাসিবাদের দোসর অখিল চেয়ারম্যান টাকার বিনিময়ে স্বপদে ফিরে আসার জন্য তদবির শুরু করে। অনুসন্ধানে জানা গেছে জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে পাঁচ লাখ টাকা উপঢৌকন দিয়ে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য তদবির করে একটি চিঠি বাগিয়ে নিয়েছেন চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র। ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্মলা টপ্য মিনাসহ পরিষদের অধিকাংশ সদস্য সম্প্রতি এসব বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরেও কিভাবে ফ্যাসিবাদের দোসর অখিল স্বপদে পুনর্বহাল হন তা নিয়ে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতা এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, জেলা প্রশাসন পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে অখিল চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। উল্লেখ্য আজ সকালে ঢোলারহাট বাজারে চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র একজন ইউপি সদস্যকে ডেকে নিয়ে বলেন,কি করতে পারলা?আমি পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে স্বপদে ফিরে আসছি।এরপর তোমাদের বারোটা বাজাবো।এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলামের প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলে তাঁরা কেউই ফোন রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য যে ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর একাধিক ধর্ষন ও অর্ধশতাধিক শ্লীলতাহানির ঘটনাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য এলাকায় গণধিকৃত।আওয়ামী লীগের শাসনামলে নিজ দপ্তরের পরিছন্নতাকর্মীসহ একাধিক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ক্ষমতা ও টাকার জোরে ওসব মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেও তাঁর নৈতিক স্খলন থেমে নেই। ধর্ষক চেয়ারম্যান অখিলকে টাকার বিনিময়ে পুনর্বহালের খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
