ইউপি সদস্যদের কয়েকজন জানান, অখিল চেয়ারম্যানের জামিনের আগেই স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা টাকা খাওয়ার জন্য সুকৌশলে ধূর্ততার আশ্রয় নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান নির্মলা টপ্য মিনাকে দায়িত্ব দিয়ে অখিল চন্দ্র রায়ের সাথে বার্গেনিং শুরু করে। বার্গেনিংয়ের এক পর্যায়ে পাঁচ লাখ টাকায় দফারফা চুড়ান্ত হয়। দফারফা চুড়ান্ত হওয়ার সাথে সাথে জেলা প্রশাসক সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি দিয়ে অখিল চন্দ্র রায়কে পুনর্বহালের আদেশ দেন।এই আদেশের কপি হাতে পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় স্থানীয় এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর নিকট থেকে পাঁচ লাখ টাকা সুদের উপর নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নিকট পৌঁছে দেন গত ২৪ সেপ্টেম্বর। এর পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম তাঁকে পুনর্বহালের চিঠি ইস্যু করেন।
প্রশাসনের এসব ওপেন সিক্রেট ঘুষ কেলেঙ্কারির বিষয়টি ঢোলারহাটের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করে।প্রশাসনের ঘুষ কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে ও অখিল চন্দ্রকে অপসারণের দাবিতে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় স্থানীয় জনসাধারণ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবস্থান নিয়ে অখিল চন্দ্রকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।খবর পেয়ে ধর্ষক চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র পরিষদে টিসিবি মালামাল বিতরণ কর্মসূচিতে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন।ইউনিয়ন পরিষদের ধর্ষক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা অখিল চন্দ্রকে নিয়ে জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের গোপন বাণিজ্যের প্রতিবাদে এবং তাঁর অপসারণের দাবিতে আজ বিকালে ঠাকুরগাঁও -ঢোলারহাট সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় জনসাধারণ। উক্ত অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাজাহান আলী,ইউপি সদস্য ইমান আলী, স্থানীয় সমাজসেবক সাদেকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা টাকার বিনিময়ে ঠাকুরগাঁওয়ের ডিসি ও ইউএনও কর্তৃক আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাদের দাবি মেনে নিয়ে অখিলকে অপসারণ না করলে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন ঘেরাও করা হবে। উল্লেখ্য যে জেলার গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসন শুরু থেকে জেলায় ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার ঠিকাদারি নিয়েছেন। সদর উপজেলায় মাদক বিরোধী একটি সমাবেশে একাধিক গণধিকৃত আওয়ামী চেয়ারম্যানকে ডেকে ডায়াসে বক্তব্যও প্রদান করিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। সদর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে ঐ মাদক বিরোধী সমাবেশে ফ্যাসিবাদী অপশক্তির উল্লাসের খবরে স্থানীয় ছাত্র জনতা সেই সময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলেন।
টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের অভিযোগের বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তাদের ফোন করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।



