শিরোনাম
কুমিল্লা-৬ আসনে মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষে  মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন : উদবাতুল বারী আবু সন্ত্রাসীদের পক্ষে থাকা আইনজীবীদের মুখোশ উন্মোচনের আহ্বান সাদিক কায়েমের হাদির আক্রমণকারী চিহ্নিত, বিএনপিকে জড়িয়ে মিথ্যাচার চলছে: মির্জা ফখরুল ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা: প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিমের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবি রিমান্ডে হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে শহীদ মিনারে ‘সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশ’ শুরু ওসমান হাদির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় রনি নৈতিকভাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আর দায়িত্বে থাকতে পারেন না: নাহিদ ইসলাম সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদি হাদির ওপর হামলা: সাদিক কায়েমের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে: অর্থ উপদেষ্টা

মিঠাপুকুরে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

Chif Editor

শিল্পী আক্তার, রংপুর জেলা প্রতিনিধি:- রংপুরের মিঠাপুকুরে এক ইউনিয়ন সচিবের বিরুদ্ধে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়াসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই সচিবের নাম শাহাদত হোসেন। তিনি উপজেলার ৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন। এমন ঘটনায় ৩০সেপ্টেম্বর রংপুর জেলা প্রশাসক এবং দুর্নীতি দমন অধিদপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী আখেরুজ্জামান।

অভিযোগ সূত্র জানা যায়, উপজেলার সদরপুর গ্রামের আখেরুজ্জামান তার ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন‍্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর ৩নং পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদে একটি ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের জন্য যান। সেখানে দায়িত্বরত সচিব মোঃ শাহাদত হোসেন লাইসেন্স নবায়নের জন্য অতিরিক্ত ফি বাবদ তার কাছে ৩০০০/- (তিন) হাজার টাকা দাবি করেন এবং নানাভাবে হয়রানি করেন। পরে সচিব শাহাদত হোসেনের ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বারে ১৪৮৭/- টাকা খরচসহ পাঠাতে বলেন। গত বছরে  ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের ফি ছিল ৩৩০/-টাকা। কিন্তু চলতি বছরে ১৪৬০/- টাকা ফি নেয়া কতটুকু যুক্তিসংগত প্রশ্ন করিলে শাহাদাত হোসেন কোন উত্তর না দিয়ে আখেরুজ্জামানকে  তড়িঘড়ি করে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করেন।

স্থানীয়রা জানান, ইউপি সচিব শাহাদত হোসেন এর পূর্বে  ৯নং ময়েনপুর ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানে ও দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছেন। সেখানে জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ ও জন্ম সনদ সংশোধনে অতিরিক্ত ফি আদায় সহ পুরো ইউনিয়নবাসীকে জিম্মি করে রাখতেন। শাহাদত হোসেন এই দুর্নীতির অভিযোগে পরে তাকে পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তর করেন। তবে এখানেও তার দুর্নীতি যেন থামছেই না।

নাম প্রকাশ‍্যে অনইচ্ছুক কয়েকজন জানান,এই শাহাদত হোসেন মানেই দুর্নীতির আখড়া। তার বাবার কিছুই ছিলো না। সেই সময়ে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে দাদা/নানা বানিয়ে সচিব পদে চাকরি নিয়েছেন। এখন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন শাহাদাত। প্রতি বছরেই জমি কিনছেন সে। গড়েছেন আলিশান বাড়ি। যদি দুর্নীতি না করতো তাহলে অল্প সময়ের মধ‍্যে এতকিছু করা সম্ভব হতো না।

ভুক্তভোগী আখেরু জামান বলেন, সচিব শাহাদত হোসেন আমার কাছে ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের জন‍্য ৩ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। পরে তার ব‍্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে ১৪ শত ৮৭ টাকা খরচসহ পাঠাতে বলেন। আমি টাকা পাঠিয়ে দেই। এই ইউনিয়ন পরিষদে এরকম ঘটনায় প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে এবং এর ফলে জনগণের চমর ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনকে ফোন করেও পাওয়া না যাওয়ার তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ইউনিয়ন সচিব শাহাদাত হোসেন মুঠোফোনে জানান, এই অভিযোগটি সম্পন্ন মিথ‍্যা। এই অভিযোগের জবাব ও আমি দিব। তবে প্রতিবেদক তার ব‍্যক্তিগত বিকাশ নাম্বারে টাকা নেওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে, এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি শাহাদাত।

রংপুর দুর্নীতি দমন অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাওন মিয়া জানান, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply