
মামলার বিবাদী সাংবাদিক মেহেদী মানিক সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা তদন্ত করে দেখেন, মেহেদী হাসান মানিক সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমরের অনুসারী কিনা।আওয়ামী লীগের সাথে তার কোন পদ পদবী আছে কিনা। এছাড়া মামলার বাদী এজাহারে সাংবাদিকের আসল পরিচয় গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগিয়ে মামলাটি রুজু করাতে বাধ্য করেন।
সাংবাদিক মেহেদী হাসান মানিক আরো অভিযোগ করেন, কোনরকম তদন্ত ছাড়াই তার বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মিথ্যা মামলা রজূ হয়। মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে পেশাগত দায়িত্ব অখুন্ন রাখতে কর্মরত সকল গণমাধ্যম কর্মী এবং প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহবান এবং এই মামলার সত্য ঘটনা উন্মোচন হওয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
মামলার বিবাদীর আসল পরিচয় মেহেদী হাসান মানিক,(৩৯)জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৩৭০০২৪২৮৩১, পিতা আল আমিন- মাতা- মারুফা বেগম।বর্তমান ঠিকানা-সাভার দক্ষিণ দরিয়াপুর, সাভার ঢাকা।স্থায়ী ঠিকানা পোস্ট বালিয়াকান্দি, থানা বালিয়াকান্দি,জেলা রাজবাড়ী। তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের (দি ডেইলি সান ইংরেজি পত্রিকার) একজন পেশাদার সাংবাদিক। সাভার এবং ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি।
দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে এই মামলাটি রজু করানো হয় বলে দাবি সাংবাদিক মেহেদি হাসান মানিকের। এছাড়াও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার অফিস তথ্য মতে জানা যায় যে, আলী রেজা রাজু নামের কোন ব্যক্তি গণমাধ্যম কর্মী সাভার-আশুলিয়ায় প্রতিনিধি নাই। মামলার বাদী আলী রেজা রাজু দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গা অপকর্ম করে যাচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান। এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে দৈনিক যায়যায়দিনের অফিস কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানা গেছে।
সাংবাদিক মেহেদী হাসান মানিক বলেন, মামলার বাদির সাথে তার পূর্ব পরিচয় বা শত্রুতা নেই। এবং বাদীর সাথে যে ঘটনা ঘটছে সে বিষয়ে সেকিছুই জানেনা। মামলা রজু হওয়ার পর নকল উঠিয়ে জানতে পাই,মামলার এজাহারে ৭ সাতজনের মধ্যে ৩ নম্বর আসামি করা হয় তাকে।তিনি আরো বলেন,
এই মামলার বাদী আলী রেজা রাজু, তার নাম জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করেন, মামলাটি সঠিক তদন্তের স্বার্থে তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে আলী রেজা রাজুর বিবস্ত্র ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখার জোর দাবি জানান।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি আমার ফেসবুক আইডি থেকে আলী রেজা রাজুকে জড়িয়ে কোন ছবি বা ভিডিও পোস্ট করা হয়নি। তিনি কোন প্রমাণ দিতে পারবেন না।
বাদীর সাথে যে ঘটনা ঘটেছে।তার আগে -পরে আমি কিছুই জানিনা। প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ ৯/৯/২৫ ইং তাং ঘটনা দিন আমি কোথায় ছিলাম আমার সারাদিনের কর্মব্যস্ততার প্রমাণ মোবাইল ট্রাকিং করলেই বোঝা যাবে। আমার ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বারটি তদন্তের স্বার্থে দিলাম ০১৭১৩ ৫৬ ৫৭২৫।
মামলার বাদি যে বিবস্ত্র ভিডিওর কথা বলেছেন, সেটি ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠালে জানা যাবে ভিডিওটি কতদিন আগের এবং কোথায় ধারণ করা হয়েছিল।এই ঘটনায় ষড়যন্ত্র মূলক আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো জন্য কথিত দুইজন সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ব্যক্তি -১। সালেহ আহমেদ ২। হাসিবুর রহমান শান্ত তাদের ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন সময় মিথ্যা অপপ্রচার করেছেন।তাদের যোজসাজস্যে আছে হামলার বাদীর সাথে বলে মনে করেন। তাদের ফেসবুক আইডির পোস্ট এবং মামলার এজাহারে লেখা হুবাহু মিল বিদ্যমান –
এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। যেহেতু আমি সুনামের শহিত সাভার উপজেলা এবং ধামরাই উপজেলা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ কাজে ব্যস্ত থাকি, আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না হয় তার জন্য সঠিক তদন্ত দরকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট আমার আকুল আবেদন, কোনরকম তদন্ত ছাড়া আমার বিরুদ্ধে যে, মিথ্যা মামলা রজু করা হলো। মোবাইল ট্র্যাকিং করে যাচাই-বাছাই করা হোক ঘটনার দিন, ঘটনা স্থলে আমি ছিলাম কিনা, অথবা আমার ফেসবুক আইডি থেকে কোন পোস্ট হয়েছে কিনা। এই মিথ্যা মামলা থেকে আমি মুক্তি পেতে চাই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। এই ধরনের মিথ্যা মামলা এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ ছাড়া হেনেস্তা করার জন্য সাভার উপজেলা গণমাধ্যম কর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
প্রধান সম্পাদক : জুয়েল খন্দকার
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : এস এম রাশেদ হাসান
নির্বাহী সম্পাদক : গাজী ওয়ালিদ আশরাফ সামী
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : ১০/৩, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা-১০০০
হট-লাইন নাম্বার : ০১৯৮৮৬৬৩৭৮২, ০১৯৬৭৯৯৯৭৬৬.
Copyright © 2025 দেশপত্র. All rights reserved.